মেয়েটির বাবা তার বিয়ের ঠিক করেছিলেন। জানতে পেরে ১৫ বছরের প্রেমিকাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন যুবক। এর পর মেয়ের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা শুরু হয়। সেটা ২০০৬-এর কথা। সম্প্রতি দিল্লির একটি আদালত এ বার সেই মামলার রায়ে যুবকটিকে মাত্র সাত দিনের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে বিচার চলাকালীন হরিয়ানার ২৪ বছরের ওই যুবক সাত দিন জেলে থেকেছেন। ফলে এখন কোনও শাস্তি ছাড়াই ছাড়া পেয়ে গেলেন তিনি।
ওই যুবককে কার্যত বেকসুর খালাস করে দিয়ে অতিরিক্ত দায়রা বিচারক বীরেন্দ্র ভট্ট বলেন, “অভিযুক্তকে আর কোনও শাস্তি দেওয়া উচিত হবে না। বাবা-মার সঙ্গে এখনও মেয়েটির কোনও যোগাযোগ নেই। তাই ওই যুবককে ফের শাস্তি দিলে তা তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের তিন সন্তানের পক্ষে ক্ষতিকর হবে।”
রায় দানের সময় বিচারক জানান, ২০০৬-এ ওই ঘটনার সময় ওই যুবক ধন্ধে পড়ে যান। তখন তাঁর সামনে দু’টি রাস্তা ছিল। হয় তাঁর প্রেমিকার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছাড়তে হত। অথবা, প্রেমিকাকে নিয়ে পালাতে হত। এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় পথই বেছে নেন ওই যুবক। কারণ, তিনি এটা মেনে নিতে পারেননি, যে তাঁর প্রেমিকা অন্যের সঙ্গে বাকি জীবন কাটাবেন। সে সময় তিনি জানতেনও না, তাঁর স্ত্রী নাবালিকা। প্রেমের খাতিরেই অপহরণ করেন তিনি। অন্য কোনও উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না।
সে দিনের নাবালিকা-স্ত্রী বর্তমানে ২১ বছরের তরুণী। তিনি আদালতে বলেন, “আমি এখনও অভিযুক্তের সঙ্গেই রয়েছি। আমাদের তিন সন্তান আছে। উনি কখনওই আমাকে বিয়ের জন্য জোর করেননি। আমিই বিয়ের জন্য জোর করেছিলাম।” |