কালো টাকা বিরোধী আন্দোলনে বিজেপির পূর্ণ সমর্থন পেয়েছিলেন আগেই। কিন্তু আজ এনডিএ-র অন্যতম শরিক জেডিইউ-র কাছ থেকে কার্যত নিরাশ হয়েই ফিরতে হল রামদেবকে। জেডিইউ নেতা শরদ যাদব কালো টাকা উদ্ধারের লড়াইতে রামদেবের আন্দোলনকে স্বাগত জানিয়েছেন।
তাঁর মতে, রাজনৈতিক ভাবেই এই সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে। রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, শরদ যাদবের বক্তব্য থেকে পরিষ্কার যে রামদেবের ভূমিকা নিয়ে মতের অমিল রয়েছে এনডিএ শিবিরে। |
বিদেশে গচ্ছিত কালো টাকা উদ্ধারের লক্ষ্যে সমস্ত রাজনৈতিক দলের সম্মতি নিয়েই এগোবেন বলে ঠিক করেছিলেন রামদেব। তিনি প্রথমেই দেখা করেন বিজেপি সভাপতি নিতিন গডকড়ীর সঙ্গে। নিতিন এই লড়াইতে রামদেবকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন। শুধু বিরোধী শিবিরই নয়। রামদেব চেয়েছেন কংগ্রেস ও সরকারের শরিক দলের নেতাদের তাঁর এই লড়াইতে সামিল করতে। তাই মঙ্গলবার এনসিপি নেতা শরদ পওয়ারের সঙ্গে দেখা করার পর আজ রাষ্ট্রীয় লোকদল নেতা তথা বিমানমন্ত্রী অজিত সিংহের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকের পর অজিত বলেন, রামদেবের আন্দোলন রাজনীতির ঊর্ধ্বে। বিদেশের চেয়ে অনেক বেশি কালো টাকা দেশেই রয়েছে। রামদেবই এই বিষয়ে মানুষকে সচেতন করছেন।
প্রথমে বিজেপি, পরে সরকারের শরিক দলের নেতাদের সমর্থন পাওয়ার পরে উজ্জীবিত রামদেব আজ জেডিইউয়ের সমর্থন জোগাড়ে শরদ যাদবের সঙ্গে দেখা করতে যান। জেডিইউ সূত্রের খবর, শরদ যাদব রামদেবকে জানান তাঁর দল কালো টাকার বিরুদ্ধে। কিন্তু সংসদকে এড়িয়ে যে ভাবে এই আন্দোলন চলছে তাঁরা তা মেনে নিতে পারেন না। বরং এই টাকা উদ্ধারে সংসদ আরও সদর্থক ভূমিকা নিক।
প্রসঙ্গত সরকারের শরিক ও বিরোধী দলের পাশাপাশি সমর্থন জোটাতে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ও সনিয়া গাঁধীর কাছে দেখা করার সময় চেয়ে রেখেছেন রামদেব। কিন্তু সেই সাক্ষাতের আগেই আজ কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ তোপ দাগেন রামদেবের বিরুদ্ধে। তাঁর বক্তব্য, খোদ রামদেবের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেওয়ার নোটিস জারি করেছে এনফোর্সমেন্ট দফতর। কাজেই, তাঁর উচিত আগে নিজের কালো টাকার কথা স্বীকার করা। |