| বীরভূমে বাজ পড়ে মৃত্যু চার জনের |
| নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর ও পাড়ুই |
| দু’টি পৃথক ঘটনায় একশো দিনের প্রকল্পের কাজ চলাকালিন বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল দুই শ্রমিক-সহ চার জনের। বেশ কয়েক জন আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। দু’টি ঘটনাই ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা নাগাদ। প্রথম ঘটনাটি ঘটে দুবরাজপুরের পদুমা পঞ্চায়েতের গাঁড়া গ্রামে। পুকুর সংস্কারের কাজ করার সময় বাজ পড়ে মৃত্যু হয় একজন শ্রমিক-সহ দু’জনের। পাঁচ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে মৃতেরা হলেন বুধা হোসেন খান ওরফে জমির (৪২) এবং মকবুল খান (১৯)। তাঁরা গাঁড়া গ্রামের মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা। |
 |
| দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে আহতেরা। বৃহস্পতিবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |
| অপর ঘটনাটি ঘটেছে পাড়ুই থানা এলাকার সাত্তোর পঞ্চায়েতের পলসা গ্রামে একটি রাস্তা তৈরির কাজ করার সময়। সেখানে বাজ পড়ে পলসা গ্রামেই রুহুল আমিন (৪৬) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। একই সময় বাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় পার্থ দাস (৩০) নামে আরেক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পার্থর বাড়ি পাড়ুই থানা এলাকার কামারডাঙাল গ্রামে। ঘটনায় আহত আরও তিন জনকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল এবং গাঁড়া গ্রামে আহতদের সকলকেই দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুস্মিতা বিশ্বাস বলেন, “আহতদের প্রত্যেকের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। প্রয়োজনে সিউড়ি সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে।” প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রখর তাপ থেকে বাঁচতে সরকারি নির্দেশ মেনে সকাল সকাল পদুমা পঞ্চায়েতের গাঁড়া গ্রামের ‘দুইসতীন’ নামে একটি পুকুর সংস্কারে কাজে লেগে ছিলেন ওই গ্রামেরই প্রায় শ’তিনেক জব-কার্ডধারী। তবে এ দিন সকালের আবহাওয়া গত কয়েক দিনের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ছিল। ভোর থেকেই আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। সকাল ৭টার একটু আগে সামান্য বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি শুরু হয় বজ্রপাত। সমস্যা হতে পারে ধরে নিয়ে ওই কাজে নিযুক্ত শ্রমিকদের কেউ কেউ কাজ ছেড়ে কাছাকাছি থাকা একটি মুরগি খামারের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় বাজ পড়লে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জমিরের। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে মৃত্যু হয় মকবুলের। মকবুল অবশ্য ওই কাজে নিযুক্ত ছিলেন না। তিনি বাবার জন্য বাড়ি থেকে খাবার দিতে ওখানে গিয়েছিল। বাবা যখন খাবার খাচ্ছিলেন সেই সময় মাটি ফেলার কাজে হাত লাগান। তখনই ঘটনাটি ঘটে। দুবরাজপুরের বিডিও গোবিন্দ দত্ত বলেন, “ঘটনাটি মর্মান্তিক। সরকারি প্রকল্পে কাজ চলাকালীন ওই ঘটনা ঘটায় সরকারি ভাবে মৃতদের ক্ষতিপূরণ ও আহতদের চিকিৎসা খরচ বাবদ তাঁরা সাহায্য পান সে জন্য তাঁদের তালিকা ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে।” |
|
