তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে জখম হলেন তিন জন। বুধবার রাত ১১টা নাগাদ বর্ধমান শহরের বড়নীলপুরের দক্ষিণ শান্তিপাড়ার বটতলায় ঘটনাটি ঘটে। জখম তিন জনের নাম যিশু রায়, পরিমল ঘোষ ও বাপ্পা বসু। তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
বর্ধমান পুরসভার বিরোধী দলনেতা সমীর রায়ের অভিযোগ, “ওই এলাকার কয়েক জন সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এলাকায় বহু দিন ধরে তৃণমূল করছেন এমন কয়েক জন তার প্রতিবাদ করায় তাঁদের আক্রমণ করা হয়। জখম হয়ে দলের তিন কর্মী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।”
জখম যিশু রায়ের বাবা নিমাইবাবু বৃহস্পতিবার বর্ধমান থানায় মোট ১৯ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। |
বর্ধমান মেডিক্যালে আহতরা। নিজস্ব চিত্র। |
তাঁদের মধ্যে বর্ধমান থানার প্রাক্তন আইসি ভবদের চক্রবর্তীর ভাই ঝন্টু চক্রবর্তী, নেপাল সরকার, আশু দাস, সন্ধ্যা ও শ্রাবণী চক্রবর্তী প্রমুখের নাম রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে যিশু ও অন্যদের লক্ষ করে গুলি চালানো ও বঁটি দিয়ে কোপ মারার অভিযোগ জানান তিনি। সমীরবাবুর ক্ষোভ, “ঘটনার পরে প্রায় ১৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।”
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ঝন্টু চক্রবর্তী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, “আমি বা আমার সঙ্গে থাকা কেউ গুলি চালায়নি। বঁটি দিতে আঘাতও করা হয়নি। উল্টে আমাদের লোকেরাই আক্রন্ত হয়েছেন। কয়েক জনের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুরও চালানো হয়েছে। এক মহিলা-সহ পাঁচ জন জখম হয়েছেন।” তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক অলোক দাস বলেন, “কিছু লোকের কাজের জন্য আমাদের দলের বদনাম হচ্ছে। ঘটনাটি নিয়ে দলের পদস্থ নেতাদের সঙ্গে শীঘ্রই আলোচনা করা হবে।”
বর্ধমান থানার আইসি দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “নীলপুরের ঘটনা নিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।” |