মালদহ জেলার উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা সাড়ে পাঁচ হাজার ছাত্রছাত্রীর কলেজে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বুধবার জেলাশাসক জেলার সমস্ত কলেজ কর্তৃপক্ষগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। জেলাশাসক বলেন, “উচ্চমাধ্যমিকে জেলায় যে সংখ্যক ছাত্রছাত্রী পাশ করেছেন, সেই তুলনায় জেলার ১১ টি কলেজে আসন নেই। ওই ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির যাতে সমস্যা না হয় তা দেখা হচ্ছে।” তবে কলেজগুলিতে আসন সংখ্যা কম থাকায় কী ভাবে ছেলেমেয়েরা কলেজে ভর্তি হবেন তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন অভিভাবকেরা। জেলা বিদ্যালয় পরিদশর্ক (মাধ্যমিক) পার্থসারথি ঝা জানিয়েছেন, এবছর জেলায় উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন ১৭ হাজার ৫৩৭ জন ছাত্রছাত্রী। জেলায় গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন মালদহ জেলায় ১১ টি কলেজে আসন সংখ্যা ১২ হাজারের কিছু বেশি। তাতে অতিরিক্ত সাড়ে পাঁচ হাজার ছাত্রছাত্রী কীভাবে কলেজে ভর্তি হবে সেই প্রশ্ন উঠেছে। জেলাশাসক বলেন, “প্রচুর ছাত্রছাত্রী পড়াশুনা করতে জেলার বাইরে চলে যাবেন। এতে জেলার কলেজে ছাত্রছাত্রী ভর্তির কোনও সমস্যা হবে না।” অভিভাবক, ছাত্র সংগঠনগুলির বক্তব্য, এক থেকে দুই হাজার ছাত্রছাত্রী জেলার বাইরে পড়তে যান। বাকি ছাত্রছাত্রীরা কলেজে ভর্তি হতে পারবে না। জেলাশাসন কী করে সেটা দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে বলে ছাত্র সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন। ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা সমস্ত ছাত্রছাত্রী কলেজে ভর্তি হতে না পারলে ছাত্র পরিষদ আন্দোলনে নামবে। কলেজগুলিতে আসন বৃদ্ধি করে সমস্ত ছাত্র ছাত্রীদের ভর্তি সুনিশ্চিত করতে হবে।” এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক অনিমেষ সিংহ বলেন, “সব ছাত্রছাত্রীকে ভর্তি সুনিশ্চিত করতে হবে। না হলে আন্দোলনে নামব।” প্রথম বর্ষে ছাত্র ভর্তি নিয়ে গতবছর জেলার বেশ কয়েকটি কলেজে গোলমাল হয়। এ বার যাতে কলেজে ভর্তিকে ঘিরে কোনও গোলমাল না হয় তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি কলেজে পুলিশ পিকেট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। জেলাশাসক বলেন, “কলেজ কর্তৃপক্ষকে মেধার ভিত্তিতে অনার্সের তালিকা তৈরি করে প্রথমবর্ষে ছাত্রছাত্রী ভর্তি নিতে বলা হয়েছে। অনার্স ছাড়া পাস কোর্সে স্থানীয় ব্লকের ছাত্রছাত্রীদের অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে। পরে পাশের ব্লকের ছেলেমেয়েরা সুযোগ পাবেন। গোলমাল এড়াতে পুলিশ পিকেট থাকবে।” জেলাশাসক জানান, কলেজে ছাত্র ভর্তি নিয়ে সমস্যা এড়াতে সদর ও মহকুমা পর্যায়ে মহকুমাশাসকের তদারকিতে একটি করে কমিটি গড়া হয়েছে। কমিটিই কর্তৃপক্ষ, ছাত্র সংগঠন ও অভিভাবদের সঙ্গে কথা বলবেন। |