চণ্ডীতলা ১ পঞ্চায়েত সমিতির হরিপুর পঞ্চায়েতের মশাট-হরিপুর মেটাল রোডের মল্লিকপাড়া (চালকল ধার) থেকে ভগবতীপুর বাজার এই চার কিলোমিটার মোরাম পথের খুবই খারাপ দশা। মোরামের অস্তিত্বই এখন টের পাওয়া মুশকিল। পায়ে হেঁটে চলাও দুষ্কর এই পথে। গোটা হরিপুর পঞ্চায়েত-সহ সংলগ্ন আঁইয়া পঞ্চায়েতেরও বড়চৌঘরা, গণেশপুর প্রভৃতি গ্রামের কৃষিজ পণ্য, দুধ ও দুগ্ধজাত সামগ্রী ভগবতীপুর বাজারে সরবরাহের জন্য এই রাস্তাটি ব্যবহার করতে হয়। ভগবতীপুর নবাবপুর, কুমিরমোড়া এই তিনটি পঞ্চায়েতের মানুষও এই পথে যাতায়াত করতে সমস্যায় পড়েন। আঁইয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগীকে এই রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়াও খুবই অসুবিধাজনক। এই পথটিকে পাকা সড়কে পরিণত করা খুবই দরকার।
কাজি আবু তোরাব। বাঁদপুর, হুগলি।
|
হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনের ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন খন্যান। পার্শ্ববর্তী পাঁচ-ছ’টি পঞ্চায়েত এলাকার সমস্ত মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এই স্টেশনটি। কিন্তু ডাউন প্ল্যাটফর্মের পাশে একটি মাত্র টিকিট কাউন্টার। সকালের দিকে অফিসটাইমে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন পড়ে। আপ লাইনের যাত্রীদেরও ঘুরে এসে এই কাউন্টারে দাঁড়াতে হয়। ফলে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছয়। এ ভাবে ট্রেন ‘মিস’ করতে হয় অনেককে। অবিলম্বে এই স্টেশনে আরও একটি টিকিট কাউন্টার দরকার। রেল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিন।
মহম্মদ সামিম। পূর্ব খন্যান। হুগলি।
|
হাওড়ার আমতা বর্তমানে ব্যস্ততম নগর। প্রায় তিন লক্ষ মানুষের বাস। আমতায় তৈরি হয়েছে ছোট-বড় নানা কল-কারখানা। তার ফলে আমতার উপরে চাপ খুবই বেড়েছে। কিন্তু এখান থেকে রাতে হাওড়া যাওয়ার যানবাহন মেলে না। সন্ধে সাড়ে ৭টায় শেষ বাস। কোনও ট্রেনও পাওয়া যায় না। এর ফলে বাইরে থেকে যাঁরা আমতায় কাজে আসেন, তাঁরা সমস্যায় পড়েন। আমতাবাসীর ক্ষেত্রেও এই পরিস্থিতি খুবই অসুবিধাজনক। হাওড়া যাওয়ার বাস আরও রাত পর্যন্ত চালানো হোক আমতা থেকে।
দীপঙ্কর মান্না। চাকপোতা, আমতা।
|
হাওড়া জেলার পাঁচলা থানার অন্তর্গত জয়নগর বাজার থেকে গঙ্গাধরপুর কালীতলা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় যে পাঁচ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা ছিল, তা কয়েক বছর আগে পিচে-মোড়া হয়েছে। এই পথ ব্যবহার করেন জয়নগর, গঙ্গাধরপুর, রানিহাটি, দেউলপুর, দোন্ডলপাড়া, শুভরআড়া প্রভৃতি এলাকার মানুষ। রাস্তা পাকা হওয়ায় তাঁরা উপকৃত হয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে রাস্তাটির অবস্থা খারাপ। জায়গায় জায়গায় পিচ উঠে গিয়েছে। হাঁটাচলা রীতিমতো সমস্যার। অটো রিকশায় চেপে যেতে গেলে মনে হয়, যে কোনও সময়ে গাড়ি উল্টে পড়বে। নিত্য দিন ছোটখাট দুর্ঘটনা লেগেই আছে।
শ্রীমন্ত পাঁজা। গঙ্গাধরপুর, পাঁচলা।
|
কবি বিষ্ণু দে-র জন্মস্থান পাঁতিহাল গ্রাম। এই গ্রামেই হাওড়া-আমতা লাইনের সব থেকে জনবহুল পাঁতিহাল স্টেশন। কিন্তু বর্তমানে স্টেশনটির অবস্থা করুণ। প্ল্যাটফর্মটি ট্রেনের কম্পার্টমেন্ট থেকে অনেকটা নিচুতে। যে কোনও সময় উঠতে-নামতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্ল্যাটফর্মটি পাকা না হওয়ায় বর্ষাকালে কাদায় প্যাচপ্যাচে হয়ে থাকে। গ্রীষ্মকালে সমস্যা ধুলোর। প্ল্যাটফর্মের ছাউনিগুলিও উপযুক্ত নয়। রাতে স্টেশন চত্বরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই।
সৈয়দ আবদুস সামি। হাফেজপুর, মুন্সিরহাট।
|
হাওড়া জেলার ডিহিভুরসুট বাসস্ট্যান্ডের কাছে বেশ কয়েকটি দোকানে দিনে-রাতে গোপনে চোলাইয়ের ব্যবসা চলছে রমরমিয়ে। এ ব্যাপারে পুলিশ-প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হোক।
সুনীল ঘোষ। ঘোলা, ডিহিভুরসুট। |