তথ্য জানার অধিকার আইন অনুযায়ী কোন প্রশ্নের উত্তরে কত নম্বর পেয়েছেন, তা জানার অধিকার পরীক্ষার্থীর আছে। এই অবস্থায় কলকাতা হাইকোর্ট বুধবার নির্দেশ দিয়েছে, জয়েন্ট এন্ট্রান্সের পরীক্ষার্থীরা কোন প্রশ্নে কত নম্বর পেয়েছেন, কাউন্সেলিং শুরু হওয়ার আগেই তা সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটে জানিয়ে দিতে হবে।
বিভিন্ন পরীক্ষায় আশানুরূপ নম্বর না-পেলে অনেক ছাত্রছাত্রীই আদালতের দ্বারস্থ হন। কোনও কোনও ক্ষেত্রে উত্তরপত্র তলব করে আদালত। নতুন করে মূল্যায়নের নির্দেশও দেওয়া হয় অনেক ক্ষেত্রে। এ বার জয়েন্ট এন্ট্রান্সে প্রশ্ন ধরে ধরে সব পরীক্ষার্থীরই প্রাপ্ত নম্বর জানানোর নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত।
এ বছরের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফলপ্রকাশের পরে ৩০ জনেরও বেশি পরীক্ষার্থী হাইকোর্টে মামলা করেন। ওই পরীক্ষার্থীদের আবেদন ছিল, কোন প্রশ্নের উত্তরে তাঁরা কেমন নম্বর পেয়েছেন, সেটা তাঁদের জানানোর ব্যবস্থা করা হোক। হাইকোর্টের অধিকাংশ আইনজীবীই এ দিন কাজে যোগ দেননি। তবে বিচারপতিরা যথারীতি এজলাসে বসেছিলেন। আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার্থীদের মামলার শুনানিতে যোগ দেন। তিন বলেন, “কোন প্রশ্নের উত্তর লিখে কত নম্বর পেয়েছেন, কোথায় কী ভুল করেছেন এ-সব জানতে আগ্রহী সব পরীক্ষার্থীই। জানতে পারলে তাঁরা ভবিষ্যতে ওই ভুল সংশোধন করার সুযোগ পাবেন।” শুনানির পরে বিচারপতি গিরীশ গুপ্ত জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডকে নির্দেশ দেন, কোন প্রশ্নে কে কত নম্বর পেয়েছেন, সব পরীক্ষার্থীর জন্যই তা জানিয়ে দিতে হবে। এ বারের পরীক্ষায় ‘কোয়ালিফাইং’ নম্বর কত ধরা হয়েছিল, জানাতে হবে তা-ও।
এই ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারম্যান ভাস্কর গুপ্ত বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশের কথা জানি না। তাই এই ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না।” তবে বোর্ড সূত্রের খবর, এ বারেই সব পরীক্ষার্থীর খাতা (ওএমআর শিট) ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দিয়ে দেওয়া হয়েছে সব প্রশ্নের ঠিক উত্তর। পরীক্ষার্থীরা যাতে নিজেদের ভুল দেখে নিতে পারেন এবং ঠিক উত্তরের সঙ্গে মিলিয়ে নিজের প্রাপ্ত নম্বরও হিসেব করতে পারেন, সেটা মাথায় রেখেই এই ব্যবস্থা। এক বোর্ডকর্তা জানান, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে নির্ধারিত কোনও কোয়ালিফাইং নম্বর নেই। তবে মেডিক্যালের ক্ষেত্রে মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্দেশ অনুযায়ী ন্যূনতম ৫০% নম্বর পেতে হয়।
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
স্বরাষ্ট্রসচিব এবং মানবাধিকার কমিশনের পরে পুলিশ তথা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের দ্বারস্থ হল বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায় এবং আরও তিন নেতা বুধবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। রাজ্যপালের কাছে বিজেপি নেতৃত্ব অভিযোগ করেন, ‘প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে’ তাঁদের ২৯ জন কর্মীকে জেলে পাঠানো হয়েছে। লালবাজারের ‘অমানবিকতা’য় এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যুও হয়েছে। রাজভবন থেকে বেরিয়ে রাহুল বলেন, “রাজ্যপাল আমাদের কথা শুনে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন। তাঁর যা করার, তিনি করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন আমাদের।” |