টুকরো খবর
আজ বৈঠকে অতিরিক্ত মুখ্যসচিব
পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের কাজ খতিয়ে দেখতে আজ, বৃহস্পতিবার জেলায় আসছেন পর্ষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অসিতবরণ চক্রবর্তী। তিনি মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে বৈঠক করবেন। থাকবেন পর্ষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক তন্ময় দে। জেলা প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকেরা ছাড়াও বৈঠকে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের অধীনস্থ এলাকার বিডিওরা থাকবেন বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। গত এক বছরে পর্ষদের পড়ে থাকা অর্থ সে ভাবে খরচ হয়নি বলে অভিযোগ। অনেক প্রকল্পই মাঝপথে থমকে গিয়েছে, কোনওটা শুরুই হয়নি। আবার যে ক’টি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে, তার ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেটও (ইউ সি) জেলায় জমা পড়েনি। ফলে সমস্যা বেড়েছে। জঙ্গলমহলের ব্লকগুলোতেই বেশি পরিমাণ অর্থ পড়ে রয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের বরাদ্দ অর্থে জঙ্গলমহলে মূলত সেচের কাজ শুরু হয়েছিল। মাওবাদী সমস্যায় অধিকাংশ ঠিকাদার সংস্থা মাঝপথে কাজ বন্ধ করে দেয়। জানিয়ে দেয়, তাদের পক্ষে আর কাজ করা সম্ভব নয়। এখন মাওবাদী সমস্যা না থাকলেও কাজ এগোচ্ছে না। জানা গিয়েছে, গত বছরের মার্চ পর্যন্ত পর্ষদের ২ কোটি ৬৭ লক্ষ ৬৩ হাজার ৬৭৫ টাকা পড়েছিল। চলতি বছরের মার্চের শেষেও ওই একই পরিমাণ টাকা পড়ে রয়েছে। কী ভাবে এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায়, তা খতিয়ে দেখতেই আসছেন পর্ষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মুখ্যসচিব।

মিড-ডে মিল বন্ধ, ঘেরাও প্রধানশিক্ষক
স্কুলে দীর্ঘদিন ধরেই মিড ডে মিলের রান্না খাবার খাওয়ানো হচ্ছে না। এই অভিযোগে বুধবার খড়্গপুর গ্রামীণ থানা এলাকার ভেটিয়া চণ্ডীপুর হাইস্কুল ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় মানুষ। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক মদনমোহন দাসকে ঘেরাও করে রাখা হয়। পরে মিড ডে মিল চালুর আশ্বাস দেওয়ায় ঘেরাও তুলে নেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দা দীপঙ্কর দাসের অভিযোগ, “প্রায় ৮ মাস ধরে মিড ডে মিল বন্ধ। স্কুলের উন্নয়নের অর্থও নয়ছয় হচ্ছে। বারবার প্রতিবাদ জানিয়েও সুফল মেলেনি। তাই অভিভাবকেরা মিলে স্কুল ঘেরাও করতে বাধ্য হই।” প্রধান শিক্ষকের ব্যাখ্যা, “চাল না পাওয়ায় কিছুদিন মিড ডে মিল বন্ধ ছিল। যাঁর চাল সরবরাহ করার কথা তিনি দেননি। বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে সমস্যা মিটে গিয়েছে। গরমের ছুটির পর স্কুল খুললেই মিড ডে মিল চালু হয়ে যাবে।” আর্থিক তছরুপের অভিযোগ অবশ্য মানেননি তিনি।

সেতুর শিলান্যাস
বুধবার মেদিনীপুর শহরের মজদুর নগরে দ্বারিবাঁধ খালের উপর একটি কংক্রিটের সেতুর শিলান্যাস হল। শিল্যানাস করেন মেদিনীপুরের সাংসদ প্রবোধ পন্ডা। তাঁর সাংসদ তহবিলের অর্থেই স্থায়ী সেতু তৈরি করা হবে। প্রশাসন সূত্রে খবর, মজদুর নগর এলাকাটি শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। ২০০৮ সালে সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে অস্থায়ী কাঠের সেতু তৈরি করেই পারাপার চলছে। ইতিমধ্যে অবশ্য স্থায়ী সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিশ্বেশ্বর নায়েক বলেন, “প্রয়োজনীয় অর্থ পাওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় দরবার করেছি। পুরসভা থেকেও অর্থ মেলেনি। শেষে প্রবোধবাবু তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে অর্থ দেন।” আগামী দুই মাসের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার আশ্বাস দেন কাউন্সিলর।
ডিএসও’র বিক্ষোভ
মাধ্যমিক উত্তীর্ণ সব ছাত্রছাত্রীকে নিকটবর্তী বিদ্যালয়ে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি করা-সহ বেশ কিছু দাবিতে বুধবার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের (মাধ্যমিক) দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ডিএসও। পরিদর্শককে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। নেতৃত্ব দেন নমিতা পাল, দীপক পাত্র, বিশ্বরঞ্জন গিরি প্রমুখ। ভর্তি ফি’র সঙ্গে কোনও ডোনেশন নেওয়া যাবে না বলেও দাবি জানিয়েছেন ডিএসও নেতৃত্ব। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক দাবি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেন।

বাজারে আগুন
হঠাৎই আগুন লাগল মালিগ্রাম বাজারে। পুড়ে গেল ১২টি দোকান। বুধবার দুপুরে বাজারের একটি দোকানে আগুন লাগে। দ্রুত তা ছড়িয়েও পড়ে। স্থানীয় মানুষই হাঁড়ি, বালতিতে জল নিয়ে আগুন নেভাতে ছুটে যান। খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও দমকলে। সকলের চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আসে। তার আগেই অবশ্য ১২টি দোকান পুড়ে গিয়েছে। কী কারণে আগুন লাগে, তা স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

জয়ী কেল্লা স্পোর্টিং
মেদিনীপুরে সারা রাত ব্যাপী ক্রিকেট টুর্নামেন্ট।
শর্ট-উইকেট ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হল কেল্লা স্পোর্টিং ক্লাব। মেদিনীপুরের অলিগঞ্জ অ্যাথলেটিক ক্লাবের উদ্যোগে মঙ্গলবার রাতে এই টুর্নামেন্ট শুরু হয় বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠের (বালক) খেলার মাঠে। ১৬ টি দল যোগ দেয়। খেলা চলে বুধবার সকাল পর্যন্ত। ক্লাব-কর্তৃপক্ষ জানান, গরমের জন্যই রাতে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.