ভারতের ‘প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির’ সঙ্গে ‘সম্পর্কের উন্নতি’ ঘটিয়ে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় ভূকৌশলগত ভারসাম্য বজায় রাখার বার্তা দিলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লিওন পানেত্তা। কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্বকে তিনি জানিয়েছেন, গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধির জন্য এক দিকে চিন, অন্য দিকে পাকিস্তান - দুই ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশীর’ সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে জোর দিতে হবে ভারতকে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনিকে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, ভারতকে দ্বৈত ব্যবহার যোগ্য প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে শীঘ্রই ইতিবাচক পদক্ষেপ করবে ওয়াশিংটন।
আগামী ১৩ তারিখ ওয়াশিংটনে ‘কৌশলগত আলোচনায়’ বসছে ভারত ও আমেরিকা। বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণ যাচ্ছেন সেই বৈঠকে যোগ দিতে। তার ঠিক আগে পানেত্তার সঙ্গে গত দু’দিনের বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে বিদেশ মন্ত্রক। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এবং অ্যান্টনি দু’জনেই মার্কিন কর্তাকে জানিয়েছেন, অঞ্চলের ভারসাম্য রক্ষায় ভারত সক্রিয়। কিন্তু আমেরিকার কাছ থেকেও কৌশলগত সহযোগিতা আশা করে নয়াদিল্লি। |
অমর জওয়ান জ্যোতির সামনে লিওন পানেত্তা। নয়াদিল্লি। ছবি: পিটিআই |
প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি একাধিক ক্ষেত্রে ব্যবহার করার অধিকার থেকে শুরু করে পর্যাপ্ত জ্যাভেলিন ক্ষেপণাস্ত্র আমদানি সব ক্ষেত্রেই ওয়াশিংটনের সদর্থক ভূমিকা আশা করছে ভারত।
আজকের আলোচনায় পাকিস্তান প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন পানেত্তা। একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় পানেত্তা যেমন পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উপরে জোর দিয়েছেন, অন্য দিকে এই ইঙ্গিতও দিয়েছেন সে দেশের আল কায়দা দমনে ড্রোন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাবে ওয়াশিংটন। তাঁর কথায়, “ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রশ্নে যে প্রাথমিক পদক্ষেপ
নেওয়া হয়েছে তাকে স্বাগত জানাই। সম্পর্কের উন্নতির জন্য অবশ্যই আমাদের চেষ্টা করতে হবে।” ড্রোন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রসঙ্গে পানেত্তা বলেছেন, “পাকিস্তানের কাছে আমরা স্পষ্ট বার্তা দিয়েছি যে নিজেদের সুরক্ষিত রাখার প্রক্রিয়া আমরা চালিয়েই যাব।” চিন প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “ভারত এবং আমেরিকা যখন নিজেদের প্রতিরক্ষা সমন্বয় বাড়াচ্ছে, তখন উভয় দেশেরই উচিত চিনের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করা।” আফগানিস্তানের পুর্নগঠনে ভারতের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন পানেত্তা। |