দূরপাল্লার ট্রেন দাঁড়ানোর দাবিতে আজ অবস্থান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়নাগুড়ি |
দূরপাল্লার ট্রেন স্টপের দাবিতে নিউ ময়নাগুড়ি রেল স্টেশনে অবস্থান আন্দোলনের ডাক দিল কংগ্রেস। আজ, মঙ্গলবার স্টেশন চত্বরে ৬ ঘণ্টা অবস্থান করবেন দলের কর্মীরা। কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন দলের দুই বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা এবং যোশেফ মুণ্ডা। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এই দাবিতে রেলমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন। বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন চ্যাংরাবান্ধা এলাকার রফতানি বাণিজ্য সংস্থার তরফেও নিউ ময়নাগুড়ি স্টেশনে দিল্লি ও বেঙালুরুগামী ট্রেন স্টপের দাবি উঠেছে। ময়নাগুড়ি ব্লক কংগ্রেস নেতৃত্ব জানান, নিউ ময়নাগুড়ি স্টেশনে দিল্লি ও বেঙ্গালুরুগামী ট্রেন দাঁড়ায় না। ময়নাগুড়ি ছাড়াও কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ মহকুমাসহ মালবাজারে বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাঁদের নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পৌছে ট্রেন ধরতে হয়। দলের ব্লক সভাপতি প্রদীপ ঘোষাল বলেন, “ওই সমস্যা সমাধানের জন্য দীর্ঘ দিন থেকে নিউ ময়নাগুড়ি স্টেশনে বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস, নর্থ-ইস্ট এক্সপ্রেস, উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস ট্রেন স্টপের দাবি জানানো হচ্ছে। রেল মন্ত্রকের কর্তারা কোনও ব্যবস্থা না-নেওয়ায় বাধ্য হয়ে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। মঙ্গলবার অবস্থান মঞ্চ থেকে রেল মন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পাঠানো হবে।” কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, নিউ ময়নাগুড়ি স্টেশনে দূরপাল্লার ট্রেন স্টপের ব্যবস্থা হলে চিকিৎসার জন্য ভিন রাজ্যে যাওয়া ময়নাগুড়ি ব্লকের ১৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ছাড়াও, মালবাজারের ক্রান্তি, নাগরাকাটা, লাটাগুড়ি, কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ মহকুমার রোগীরা উপকৃত হবেন। একই ভাবে চ্যাংরাবান্ধার সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা যাতায়াতের সুবিধা পাবে। সহজ যোগাযোগের জন্য লাটাগুড়ি, রামসাই এলাকা ঘিরে পর্যটন শিল্পের দ্রুত বিকাশ হবে। ব্লক কংগ্রেস সম্পাদক পল্লব সরকার বলেন, “চ্যাংরাবান্ধা থেকে নাগরাকাটা এলাকায় ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নতির জন্য এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপ জরুরি হয়ে পড়েছে।” গত ৩ মে একই দাবিতে রেলমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পাঠিয়েছে ময়নাগুড়ি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস। দলের তরফে সুভাষ বসু বলেন, “এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটন শিল্প বিকাশের জন্য নিউ ময়নাগুড়িতে দূরপাল্লার ট্রেন স্টপের দাবি জানানো হয়েছে।” দাবিকে সমর্থন করেছে চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংস্থার সম্পাদক মূলচাঁদ বুচা বলেন, “চ্যাংরাবান্ধা থেকে দিল্লির ট্রেন ধরতে নিউ জলপাইগুড়িতে পৌছতে বাড়তি হাজার টাকার উপরে ভাড়া চলে যায়। এ ছাড়াও সময় বেশি লাগে। কাজের ক্ষতি হয়। ওই সমস্যার সমাধানের জন্য নিউ ময়নাগুড়ি স্টেশনে দিল্লি ও বেঙ্গালুরুগামী দুটি ট্রেনের স্টপ খুবই জরুরি।” |