মাঠে-ময়দানে মানুষের কাছে পৌঁছে ‘জনসংযোগে’ বিশ্বাসী সিপিএম নেতা আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা এ বার দলের সঙ্কটসময়ে কেন্দ্রীয় কমিটি ও পলিটব্যুরোর নেতাদেরও মাঠে নামার অনুরোধ জানালেন। দলকে সঙ্কট থেকে পুনরুদ্ধারে এবং আসন্ন পুরভোটের প্রচারে ওই নেতাদের ‘উপস্থিতি’ দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়াবে বলে রেজ্জাকের আশা। তাঁর নিজস্ব মেঠো ভাষায় রেজ্জাক বলেছেন, “গরুর গাড়ি কাদায় আটকে গেলে গাড়োয়ান রাস্তায় নেমে চাকা তোলেন। দলের এই পরিস্থিতিতে সে ভাবেই এগিয়ে আসতে হবে নেতাদের।”
সোমবার ক্যানিংয়ের জীবনতলায় প্রাক্তন ভূমিমন্ত্রী রেজ্জাক কারও নাম না-করেই বলেন, “সামনে পুরভোট। সেখানে তৃণমূল ভয় দেখিয়ে সব আসন ছিনিয়ে নিতে পারে। সে জন্য দলের (সিপিএমের) কেন্দ্রীয় কমিটি এবং পলিটব্যুরোতে যে সব নেতা রয়েছেন, তাঁদের এগিয়ে আসতে হবে। দলকে চাঙ্গা করতে হবে।” সিপিএমের একাংশের মতে, রেজ্জাকের এই ‘অনুরোধে’র লক্ষ্য পলিটব্যুরোর সদস্য রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী নিরুপম সেনের মতো নেতারা। কারণ, বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গৌতম দেব বা অধুনা পলিটব্যুরোর সদস্য, বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রকে পুরভোটের প্রচারে দেখা গেলেও এখনও দেখা যায়নি বুদ্ধ-নিরুপমকে। দলীয় সঙ্কটমোচনে প্রচার-ময়দানে বুদ্ধবাবুর উপস্থিতি এখনও আলাদা গুরুত্বের বলেই অভিমত ফ্রন্টের একাংশের। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই বুদ্ধবাবুদের ‘গাড়োয়ানে’র সঙ্গে তুলনা করে রেজ্জাক তাঁদের ‘গাড়ির চাকা’ টেনে তোলার আর্জি জানান।
পুরভোটে তৃণমূলের ‘সন্ত্রাস’ও বড় বাধা বলে মন্তব্য করেছেন গৌতম দেবও। রাজ্য নির্বাচন কমিশনে ফ্রন্ট নেতারা অভিযোগ করেন, পাঁশকুড়া এবং হলদিয়ায় তৃণমূল ‘সন্ত্রাস’ চালাচ্ছে। এ দিন ওই দুই পুরসভায় ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে রবীন দেবের নেতৃত্বে বাম প্রতিনিধি দল মুখ্যসচিব সমর ঘোষকে স্মারকলিপি দেয়। রবীনবাবুর অভিযোগ, “কমিশন প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আশ্বাস দিলেও পরিস্থিতি বদলায়নি। স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।” |