রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু উন্নয়নে ভাঁওতাবাজির অভিযোগ তুলল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেল। এ ব্যাপারে সোমবার জেলাশাসক নারায়ণস্বরূপ নিগমের কাছে ১৭ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপিও জমা দেয় তারা। সেখানেই ওই অভিযোগের কথা জানান সংগঠনের নেতারা। এ দিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ সংখ্যালঘু সেলের হাজার খানেক সমর্থক আলিপুরে জেলাশাসকের অফিসের কাছে সভা করেন। তার পরে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। জেলা সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান শেখ মেহতাব হোসেন বলেন, “সংখ্যালঘু উন্নয়ন নিয়ে রাজ্য সরকার যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কার্যত তার ১০ শতাংশেরও পরিকল্পনা হয়েছে কিনা, তা নিয়েই সন্দেহ রয়েছে।” জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রামরাবণ পাল বলেন, “সংখ্যালঘু উন্নয়নে বামফ্রন্ট সরকার যা পরিকল্পনা নিয়েছিল, তার কোনওটিই বাস্তবায়িত হয়নি। বর্তমান সরকারও শুধু প্রতিশ্রুতি-ই দিয়ে চলেছে। তাই বাস্তব পরিস্থিতি উল্লেখ করে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে।” জেলাশাসক জানান, দাবি বিবেচনা করা হবে।
|
নবম শ্রেণির এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ হাবরার বাউগাছি গ্রামে দু’টি গাছের ডালে বাঁধা বাঁশ থেকে গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় রঞ্জিত বিশ্বাস (১৫) নামে ওই ছাত্রকে ঝুলতে দেখেন গ্রামবাসীরা। তাঁরাই তাকে নামিয়ে হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। ওই গ্রামেই তার বাড়ি। পড়ত স্থানীয় কাউগাছি কাশীবালা বিদ্যাপীঠে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই ছাত্রটি আত্মঘাতী হয়েছে। তাঁর জামার পকেট থেকে একটি ‘সুইসাইড নোট’ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়না-তদন্তের জন্য দেহটি বারাসত জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
|
সোনার দোকানে ডাকাতির তদন্তে সোমবার বনগাঁয় এলেন রাজ্য পুলিশের আইজি (দক্ষিণবঙ্গ) মিহির ভট্টাচার্য। এসডিপিও অফিসে তিনি দীর্ঘ ক্ষণ পুলিশ কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন। শুক্রবার বনগাঁর প্রাণকেন্দ্র বাটার মোড়ে একটি সোনার দোকানে হানা দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। বোমাবাজি করে তারা। গুলিও চালায়। ওই ঘটনায় জখম হন ৯ জন। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নদিয়ার তাহেরপুর থেকে ইতিমধ্যেই এক জনকে ধরেছে পুলিশ। কিন্তু সমস্ত দুষ্কৃতী গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা স্বস্তি পাচ্ছেন না। পুলিশ সূত্রের খবর, ডাকাতির ঘটনাটিকে এ দিন আইজি ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন। ঘটনার তদন্ত কী ভাবে এগোবে, সে ব্যাপারে পুলিশকে তিনি কিছু নির্দেশিকাও দিয়েছেন।
|
রাজ্য যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের অপমৃত্যু ঘিরে সোমবার চাঞ্চল্য ছড়াল বরাহনগরে। পুলিশ জানায়, সুস্মিতা (৩২) ইনস্টিটিউট লেনে মাসির বাড়িতে থাকতেন। বরাহনগরের আইএনটিইউসি-র সভাপতি রাজীব মিশ্র জানান, এ দিন সকালে ডাকাডাকিতেও সুস্মিতা দরজা খুলছেন না দেখে পরিজনেরা দলেরই এক নেতা রাজা সাহাকে খবর দেন। দরজা ভেঙে দেখা যায়, সিলিং থেকে ঝুলছে সুস্মিতার দেহ। সুইসাইড নোট মেলেনি। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত্যুর আগে মোবাইল থেকে এক বন্ধুকে মেসেজ পাঠান সুস্মিতা। তা নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নয় পুলিশ। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। |