দুর্ঘটনায় মৃত একই পরিবারের চার
কটি শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সেরে হাবরা থেকে গাড়িতে দুর্গাপুরের বিধাননগরে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল একই পরিবারের চার জনের। সোমবার সকালে পাণ্ডুয়ার সিমলাগড় বাজারের কাছে জিটি রোডে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। মৃতেরা হলেন পলি রায় (৪৮), তাঁর ছোট মেয়ে মেধা (১৫), ছেলে সাগ্নিক (১২) এবং পলিদেবীর শাশুড়ি রেবা রায় (৮০)। গুরুতর আহত অবস্থায় পলিদেবীর স্বামী কিশোরকুমার রায়কে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তিনিই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। সোমবার তাপস ঘোষের তোলা ছবি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিশোরবাবুরা দুর্গাপুরের বিধাননগরের একটি আবাসনে থাকতেন। হাবরায় কিশোরবাবুর শ্বশুরবাড়ি। দিন কয়েক আগে তাঁর শাশুড়ি শোভা রায়চৌধুরী মারা যান। রবিবার ছিল শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। বৃহস্পতিবারই স্ত্রী ও ছেলেমেয়েকে নিয়ে তিনি হাবরায় যান। অশোকনগরের কালোপাড়ায় কিশোরবাবুর পৈতৃক বাড়ি। সেখানে মা রেবাদেবী থাকতেন। সোমবার ফেরার সময়ে কিশোরবাবু গাড়িতে মাকেও তুলে নেন। সিমলাগড় বাজারের কাছে একটি লরিকে ‘ওভারটেক’ করে বেরনোর সময়ে কিশোরবাবুর গাড়ির সঙ্গে উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। কিশোরবাবুর পাশের সিটেই বসেছিলেন পলিদেবী। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। সংঘর্ষে গাড়িটির সামনের দিক দুমড়ে-মুচড়ে যায়। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন গ্যাস-কাটার নিয়ে এসে গাড়িটির দরজা-জানলা কেটে আহত চার জনকে বের করে পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই রেবাদেবী এবং মেধা মারা যায়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কিশোরবাবু ও সাগ্নিককে স্থানান্তরিত করানো হয় চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে। সেখানে মারা যায় সাগ্নিক। এর পরে কিশোরবাবুকে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়। পুলিশ ট্রাকটি আটক করলেও চালক পালায়।
কিশোরবাবু দুর্গাপুরেই একটি বেসরকারি সংস্থার উচ্চ পদে কর্মরত ছিলেন। গত মার্চ মাসে অবসর নেন। তাঁর বড় মেয়ে পূজা দিল্লিতে কর্মরত। এ দিন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাবরা থেকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে চলে আসেন কিশোরবাবুর আত্মীয় ও সহকর্মীরা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.