মনোনয়নপত্র জমা করা নিয়ে উত্তেজনা, ভাঙচুর
কটি স্কুলভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে উত্তেজনা ছড়াল ক্যানিংয়ের জীবনতলা এলাকায়। সন্ধ্যায় ওই এলাকায় সিপিএম সমর্থকদের কয়েকটি দোকানে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আগামী ৩ জুন এখানকার হাওড়ামারি হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির ভোট হওয়ার কথা। সোমবার ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। গণ্ডগোলের আশঙ্কায় প্রচুর পুলিশ, র্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স মোতায়েন ছিল এলাকায়। বেলা ১১টা নাগাদ তৃণমূল প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়ে বেরিয়ে যান। রাস্তার উল্টো দিকে, সিপিএমের একটি দলীয় কার্যালয় রয়েছে। সেই কার্যালয়ের সামনে তৃণমূল একটি পথসভাও করে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী চৌধুরীমোহন জাটুয়া, দলের জেলা নেতা শক্তি মণ্ডল, আবু তাহের সর্দার প্রমুখ। পথসভার পরেই অবশ্য কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী চলে যান। বেলা ১২টা নাগাদ সিপিএম প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে গেলে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা মারমুখী হয়ে তাঁদের বাধা দেন এবং কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ। সেখানে ছিলেন রেজ্জাক মোল্লাও। পুলিশ তখনই গিয়ে দু’পক্ষকে সরিয়ে দেয়। পুলিশি নিরাপত্তায় সিপিএম প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দেন। এ জন্য প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রেজ্জাক মোল্লা। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ওই স্কুলের পরিচালন সমিতি সিপিএমের দখলে রয়েছে। সকালের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলেও সন্ধ্যায় এলাকায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা সওকত মোল্লার নেতৃত্বে সিপিএমের এক প্রার্থী-সহ অন্তত ১২ জনের দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ পরিস্থিতি সামলায়।
ছবি: সামসুল হুদা।
রেজ্জাকের অভিযোগ, “সম্প্রতি আশপাশের কয়েকটি স্কুলে তৃণমূল আমাদের প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি। সেই কারণেই আমি এ দিন দলীয় কার্যালয়ে যাই। যাতে কোনও গণ্ডগোল না হয়। কিন্তু রাতে ওরা আমাদের কর্মী-সমর্থকদের দোকানে হামলা চালাল। হুমকিও দেয়।” সওকত অভিযোগ উড়িয়ে দাবি করেন, “আমাদের কেউ দোকানে হামলা চালায়নি। কয়েক জন মদ্যপ ব্যক্তি ওই ঘটনা ঘটিয়েছে।” শক্তি মণ্ডল বলেন, “আগের স্কুলভোটে মনোনয়ন দিতে না দেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা। তবে, এ দিন সকালে আমাদের কিছু কর্মী-সমর্থক উত্তেজিত হয়ে পড়েন। বেশি কিছু হয়নি। পুলিশ অকারণে আমাদের উপরে লাঠি চালায়। ১৮ জন জখম হন।” চৌধুরীমোহন জাটুয়ার দাবি, “মনোনয়নের জন্য নয়, ব্যক্তিগত কাজে জীবনতলায় গিয়েছিলাম। ওখানকার ঘটনার সঙ্গে আমার যোগ নেই।” পুলিশ লাঠি চালানোর অভিযোগ মানেনি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.