টোলগে ওজবেকে নিয়ে সোমবারও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারল না ইস্টবেঙ্গল। তিন বার শো-কজের চিঠি পেয়েও তাকে গুরুত্ব দেননি মোহনবাগানের সঙ্গে ইতিমধ্যেই চুক্তি করে ফেলা ফুটবলারটি। ইস্টবেঙ্গলের ‘নির্দেশ’ সত্ত্বেও টোলগে তাদের সঙ্গে দেখা করেননি ক্লাবে এসে। তা সত্ত্বেও অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকারকে শাস্তি দেওয়া ঠিক হবে কি না তা নিয়ে বিভ্রান্ত লাল-হলুদ কর্তারা।
এ দিন বিকেলে ইস্টবেঙ্গলের প্রেসিডেন্ট, সচিব-সহ বড় কর্তারা একজোট হয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করলেও টোলগেকে নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারলেন না। বরং আইএফএ-র দেখানো পথেই ‘ধীরে চলো’ নীতি নিচ্ছেন তাঁরা। সভার পরে অন্যতম প্রধান কর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, “মঙ্গলবার আইএফএ-র প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির সভায় কী হয় দেখে আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।” কিন্তু ঘটনা হল, আইএফএ কর্তারা নিজেরাও বিভ্রান্ত। তাঁরা বুঝতে পারছেন না কোনও বিদেশি ফুটবলারকে শাস্তি দেওয়ার এক্তিয়ার রাজ্য সংস্থার আদৌ আছে কি না? এর আগে চুক্তি বা টাকা নিয়ে বিদেশি ফুটবলার সংক্রান্ত যত ঝামেলা হয়েছে প্রতি বারই তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা। সেটাই মেনে নিয়েছে ফেডারেশন এবং আইএফএ। সে জন্য খুব গোপনে ফেডারেশনকে চিঠি দিয়ে আগে বিষয়টি পরিষ্কার করে নিতে চান আইএফএ কর্তারা। চাইছেন গাইডলাইন। নিট ফল, আজ মঙ্গলবার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির সভায় তেমন কিছুই হবে না। নতুন একটি তারিখ দেওয়া হবে ফের সভার জন্য। তার উপর যে প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির সভা আজ বসছে তাদের মেয়াদও শেষের মুখে। নতুন কমিটি আসবে জুলাইতেই। ফলে এখন কোনও সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনাই নেই। শুধুই সময় নষ্ট করার খেলা। এই অবস্থায় আজ আইএফএ-র সভার পরে ইস্টবেঙ্গল কী করে সেটাই দেখার। তবে তাদের যা করতে হবে ৩১ মে-র মধ্যে। কারণ লাল-হলুদের দাবি মতো টোলগে ওই দিন পর্যন্তই চুক্তিবদ্ধ তাদের সঙ্গে।
যাঁকে নিয়ে বৈঠক এবং আলোচনা, সেই টোলগে অবশ্য এখন বান্ধবী নিয়ে ইউরোপ ভ্রমণে। তাঁকে যাঁরা সই করিয়েছেন মোহনবাগানের সেই বড় কর্তারাও বিদেশ ভ্রমণে। টোলগের এজেন্ট অবশ্য মেল-বোমা পাঠিয়ে ফিফার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। পরিস্থিতি যা, তাতে ফিফা থেকেই টোলগের নতুন মরসুমের খেলার ব্যাপারে দিক নির্দেশ করে দেবে। আইএফএ এখন সে দিকেই তাকিয়ে। |