রজার ফেডেরার তাঁর ১৭তম গ্র্যান্ড খেতাব অভিযান শুরুই করলেন মেজরের একটা সর্বকালীন রেকর্ডকে স্পর্শ করে। সোমবার রোলাঁ গারোর সুজান লেংলেন এরিনার লাল সুরকির কোর্টে তৃতীয় বাছাই ফেডেরার প্রথম রাউন্ডে হারান জার্মানির তোবিয়াস কামকে-কে। ৬-২, ৭-৫, ৬-৩। এবং বিশ্বের ৭৭ নম্বর জার্মানকে হারানোর সঙ্গে সঙ্গে ফেডেরার গ্র্যান্ড স্লামে ২৩৩তম ম্যাচ জিতে জিমি কোনর্সের রেকর্ড ছুঁলেন। পরের ম্যাচে রোমানিয়ার আদ্রিয়ান অ্যানগুর-কে হারিয়ে দিলে ফেডেরারই গ্র্যান্ড স্লামে সর্বাধিক ম্যাচ জেতার একক রেকর্ডের মালিক হবেন। “জিমি কোনর্স এক জন বিশাল চ্যাম্পিয়ন। এখনও তা-ই মর্যাদা পান। সে জন্য এই রেকর্ডটা ছুঁতে পারাটা আমার কাছে একটা বিরাট প্রাপ্তি,” বলে ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে ২০০৯-এর ফরাসি ওপেন চ্যাম্পিয়ন এবং ক্লে কোর্ট গ্র্যান্ড স্লামে চার বারের ফাইনালিস্ট ফেডেরার আরও যোগ করেছেন, “এই রেকর্ডটা বিশাল। কারণ, এটা এক জন প্লেয়ারের দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যকে বোঝায়। আমিও তো অনেক দিন ধরে সফল হয়ে চলেছি। তিরিশ বছর বয়সে বিশেষ করে রেকর্ডটা ছুঁতে পারায় আরও বেশি ভাল লাগছে।” |
ফেডেরারের কীর্তির কিছু পরেই আবার ফিলিপ শাঁতিয়ের কোর্টে শীর্ষ বাছাই জকোভিচ তাঁর টানা চতুর্থ মেজর জেতার অভিযান সফল ভাবে শুর করেন। ইতালির স্টারেস-কে ৭-৬, ৬-৩, ৬-১ হারিয়ে। ১৯৬৯-এ রড লেভারের ৪৩ বছর পরে একসঙ্গে চারটে গ্র্যান্ড স্লামই নিজের ঝুলিতে ভরার লক্ষ্যে নেমে অবশ্য বিশ্বের এক নম্বর জকোভিচকে প্রথম সেটে যেন কিছুটা টেনশনাক্রান্ত মনে হচ্ছিল। “প্রথম রাউন্ড ম্যাচ যে কোনও টুর্নামেন্টেই গোলমেলে। ছন্দটা নতুন করে পেতে হয়। আমি বেশ কিছু লুজ শট খেলেছি। তবে ম্যাচে বেশির ভাগ সময় এগিয়ে থাকার জন্য ওই ভুলগুলো করার অধিকারও ছিল আমার,” বলেছেন টেনিস দুনিয়ার বিখ্যাত ‘জোকার’। এ দিন মেয়েদের শীর্ষ বাছাই আজারেঙ্কাকে আবার আর এক ইতালীয় প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রিয়ান্তি-কে প্রথম রাউন্ডে হারাতে একটি সেটও খোয়াতে হয়েছে। আজারেঙ্কা জেতেন ৬-৭, ৬-৪, ৬-২। তবে সহজেই দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছেন গত বারের চ্যাম্পিয়ন চিনের না লি। |