নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রাতে বাড়িতে ঢুকে দরজার তালা ভেঙে চুরির চেষ্টায় উদ্বেগ ছড়াল মেদিনীপুর শহরের বেড়বল্লভপুর ও তার আশপাশের এলাকায়। তবে তিনটি দরজার তালা ভাঙলেও তেমন কিছু নিয়ে পালাতে পারেনি দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় মানুষের ধারণা, কেউ এসে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কাতেই দুষ্কৃতীরা পালিয়েছে। তদন্ত শুরু করছে পুলিশ।
বেড়বল্লভপুরের বাসিন্দা সমীরণ পাল রবিবার জামাইষষ্ঠীর সকালে সপরিবার শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন। রাতে তাঁর কাছে খবর পৌঁছয়, বাড়িতে চুরি হয়েছে। কী ভাবে? সমীরণবাবু তাঁর এক পরিচিতকে রাতে বাড়িতে থাকার জন্য বলে গিয়েছিলেন। তিনি রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ এসে দেখেন, সদর-দরজার তালা ভাঙা। দু’টি ঘরের তালাও ভাঙা। তিনি ফোনে যোগাযোগ করেন সমীরণবাবুর সঙ্গে। খবর পেয়ে রাতেই সেখানে পৌঁছন প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান সুভাষময় ঘোষ। বেড়বল্লভপুর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। এই ওয়ার্ডেই থাকেন সুভাষময়বাবু। পৌঁছয় পুলিশও। তবে, দরজার তালা ও আলমারি ভাঙা হলেও শুধুমাত্র আলমারিতে রাখা কয়েকটি শাড়ি ছাড়া তেমন কিছু খোওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন সমীরণবাবু। ধারণা, সীমানা-প্রাচীর টপকেই বাড়ির সদর-দরজায় পৌঁছেছিল দুষ্কৃতীরা। টাকা-গয়না চুরির উদ্দেশ্য নিয়েই তারা এসেছিল। তবে শব্দ শুনে কেউ এসে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কায় চম্পট দিয়েছে। তেমন কিছু খোওয়া না-গেলেও দুষ্কৃতীরা বাড়ির মধ্যে ঢুকে যে ভাবে ঘরের তালা ভেঙেছে, তাতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ১১ মে শহরের বরিশাল কলোনিতে ঘরের মধ্যেই রহস্যজনক ভাবে খুন হয় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্র। ওই ঘটনারও এখনও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় দিনে-দুপুরে বাড়ির মধ্যে নিজের ঘরেই কী ভাবে ওই ছাত্র খুন হয়ে গেল, সে নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। চলতি বছরের ১ মার্চ জুগনুতলায় বাড়ির মধ্যেই এক বৃদ্ধা খুন হন। তদন্তে রহস্য খুঁজে বের করে পুলিশ। জানা যায়, ঘটনার মাস দুয়েক আগে খুনিরা ওই বাড়িতেই রঙের কাজ করেছিল। তারা প্রায় সকলেই মাদকাসক্ত। ডাকাতিতে বাধা পেয়ে ওই বৃদ্ধাকে মাথায় কাঠ দিয়ে আঘাত করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। পর পর এমন ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন শহরবাসী। পুলিশ জানিয়েছে, বেড়বল্লভপুরের ঘটনায় জড়িতদের খোঁজ চলছে। |