অফিসের আসবাবপত্র তৈরির জন্য বন দফতরের আওতায় থাকা প্রায় আড়াইশো গাছ বিনা অনুমতিতে কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে সিপিএম পরিচালিত গঙ্গারামপুর পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই ওই ঘটনাটি নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বন দফতর। পঞ্চায়েত নিযুক্ত যে ৩ জন ঠিকা শ্রমিক গাছ কেটেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নথিভুক্ত করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, কাটা গাছ বাজেয়াপ্ত করার সময়ে কোন পঞ্চায়েত কর্তার নেতৃত্বে বিট অফিসারকে নিগ্রহ করার অভিযোগ রয়েছে তাও খতিয়ে দেখছে বন দফতর। ডিএফও অপূর্ব সেন বলেন, “ওই গাছগুলি বন দফতর থেকে লাগানো হয়েছিল। গাছ কাটার কোনও অনুমতি পঞ্চায়েত সমিতি নেয়নি। তা জানার পরে কাঠ উদ্ধার করতে গেলে বিট অফিসারকে নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। কী ভাবে কী ঘটেছে তা খতিয়ে দেখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও জেলাশাসককে জানানো হচ্ছে।”
দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক দুর্গাদাস গোস্বামী জানান, গাছ কাটা সংক্রান্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সীতেশ গুহ বলেন, “বিডিও, বনভূমি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ও প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকের পরে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত হয়। বন দফতরের সঙ্গে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এখন ঠিক হয়ে গিয়েছে।” তবে স্থানীয় বাসিন্দা তথা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র জানান, বিনা অনুমতিতে কেন গাছ কাটা হয়েছে তা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তাঁর কথায়, “বেআইনি কাজ কী ভাবে কারা করেছেন তা প্রশাসন তদন্ত করে দেখুক।”
বন দফতর সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার রতনপুর এলাকায় রাস্তায় দুধার থেকে গত কয়েকদিন যাবৎ আড়াইশোর উপর আকাশমণি, শিশু, ইউক্যালিপ্টাস গাছ কাটা হয়। অনুমতি ছাড়া গাছ কাটার খবর পেয়ে বিট অফিসারের নেতৃত্বে বন দফতরের কর্মীরা পর দিন, শুক্রবার অভিযান চালাতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন। পঞ্চায়েতের এক কর্তার নেতৃত্বে ঠিকাদারের লোকজন বিট অফিসারকে ধাক্কাধাক্কি করে মারমুখী হয়ে ওঠেন বলে অভিযোগ। গন্ডগোলের খবর পেয়ে পুলিশ সুপারের সাহায্য চান ডিএফও। ওই দিন বিকেল নাগাদ গঙ্গারামপুর থানা থেকে কমব্যাট ফোর্স সহ বিরাট পুলিশ বাহিনী পৌঁছলে হামলাকারীরা হটে যায়। |