রাস্তা সংস্কারের জন্য প্রাচীন একটি বটগাছ কাটা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে আমতা ২ ব্লকের জয়পুর অমরাগড়ি চক জনার্দন গ্রামে।
মাস দু’য়েক আগে পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে রাস্তার পাশের ওই প্রাচীন বটগাছটি কাটা হয়। আর তারপরে উত্তেজনা ছড়ায়। এলাকার বাসিন্দাদের কথায়, “রাস্তা তৈরির জন্য গাছটি কাটার দরকার ছিল না। কিছু ডালপালা ছেটে দিলেই কাজ হয়ে যেত। রাস্তাটি একটু সরিয়ে করলেও এত সমস্যা হত না।” একই বক্তব্য অমরাগড়ি অঞ্চল কংগ্রেস সভাপতি শেখ আক্কাশালির। তিনি বলেন, “প্রাচীন বটগাছটির ডালপালা ছেটে দিলে গাছ কাটার প্রয়োজন ছিল না। পঞ্চায়েত সমিতি রাস্তা তৈরির জন্য যা ভাল বুঝেছে, করেছে।” এ ব্যাপারে এলাকার মানুষও আপত্তি জানিয়েছিলেন। |
কিন্তু কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত প্রধান সিপিএমের তাপস দলুই বলেন, “বটগাছটি কাটার সময় এলাকার মানুষ আপত্তি করেছিলেন ঠিকই। কিন্তু রাস্তা সংস্কারের জন্য গাছ কাটতে বাধ্য হয়েছি।” তবে আমতা ২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মালবিকা হাজরা বলেন, “আমি বিষয়টি জানি না। কিছু বলতে পারব না।”
এ ব্যাপারে এলাকার প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান ভরত খাঁ বলেন, “যে যার খুশিমতো কাজ করছে। বলার কেউ নেই। অভিযোগ জানালেও কাজ হয় না। একটি গাছ কাটলে অন্তত ৬টি গাছ লাগাতে হয়। এ ক্ষেত্রে তেমন কিছু কি হয়েছে?” এলাকার বিরোধী নেতা তৃণমূলের শেখ সামরুল বলেন, “গাছটি কাটার ব্যাপারে আমাকে কেউ কিছুই জানায়নি। তবে বটগাছটি কেটে ভালই করেছে। ওই জায়গায় রাস্তাটি সরু ছিল। রিকশা, মোটরবাইক, সাইকেল যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছিল। বেশ কয়েকবার দুর্ঘটনাও ঘটেছে। ওই জায়গায় রাস্তা চওড়া করার প্রয়োজন ছিল। আর তা করতে গাছ কাটতেই হত। তাই হয়েছে।” এ দিকে অভিযোগ উঠেছে, গাছের মালিকেরাও তাদের প্রাপ্য পাননি। রাজনৈতিক নেতাদের হুমকির ভয়ে তাঁরা কিছু বলতে পারছেন না বলে অভিযোগ এলাকার মানুষের।
বন দফতরের হাওড়া জেলার আধিকারিক গৌতম চক্রবর্তী বলেন, “গাছ কাটতে বন দফতরের অনুমতি লাগে। এ ক্ষেত্রেও হয়তো তা নেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি আমরা খোঁজ নিচ্ছি।” |