|
|
|
|
মমতাকে নিয়ে তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ার ভাবনায় লালুপ্রসাদরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
বিজেপি-র ‘ফাঁদে’ মমতা যে কোনও ভাবেই পা দেবেন না, সে সম্পর্কে নিশ্চিত বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদব। বরং মমতা-সহ আঞ্চলিক দলের নেতাদের নিয়ে কেন্দ্রে ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গড়ার সম্ভাবনা দেখছেন লালু।
রবিবার কলকাতায় গিয়ে বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করে জানান, “মমতাকে এনডিএ-তে স্বাগত জানাতে আমরা প্রস্তুত।” মূলত কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ থেকে মমতাকে বের করে আনার লক্ষ্যেই যে বিজেপি আগ্রহী তা স্পষ্ট। সেই প্রসঙ্গ টেনেই লালুপ্রসাদ কটাক্ষ করেন, “সুশীল মোদী আগে ঠিক করুন তিনি কার দিকে আছেন, লালকৃষ্ণ আডবাণী না নরেন্দ্র মোদী। তারপর সেই নেতার অনুমতি নিয়ে তিনি এই সব কথা বলবেন।” তাঁর ধারণা, বিজেপি মমতাকে যতই আমন্ত্রণ জানাক না কেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সে দিকে পা বাড়াবেন না। আজ পটনায় আরজেডি কর্মসমিতির বৈঠকের পর দলনেতা লালু প্রসাদ বলেন, “কেন্দ্রে আগামী দিনে ধর্মনিরেপক্ষ সরকার হবে। কোনও একটি দল একক সরকার গড়তে পারবে না। আঞ্চলিক দলগুলি মিলে সরকার গড়বে। ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গড়তে একটি ফ্রন্ট তৈরি করা হবে।” তাঁর বক্তব্য, “মমতাজিকে আমি চিনি। খুব তেজী মহিলা। তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ায় মমতা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবেন।” উল্লেখ্য, রেল মন্ত্রকের দায়িত্ব নেওয়ার পর পূর্বসূরী লালুপ্রসাদের সঙ্গে মমতার সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছিল। আজ লালুর মুখে মমতার প্রশংসা কার্যত জাতীয় রাজনীতিতে মমতাকে পাশে পাওয়ার জন্য তৃতীয় ফ্রন্টের অন্যতম প্রবক্তা লালুর প্রয়াস বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরজেডি কর্মসমিতির আজকের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার হাল দেখতে বিদগ্ধজনদের নিয়ে একটি কমিটি গড়া হবে। এ ছাড়াও গ্রামে গ্রামে গিয়ে দলের নেতারা বৈঠক করবেন। লালুর বক্তব্য, “গরমে আমরা দিনে বৈঠক করে মানুষকে কষ্ট দিতে চাই না। গরম কমলেই দল কাজ শুরু করবে।” মোতিহারি এবং গয়া দুই জেলাতেই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির দাবিতে লালু প্রসাদ নিজে ওই জেলায় ১২ থেকে ১৬ জুন যাত্রা করবেন। পানি-বিজলি-সড়কের দাবিতে আরজেডি এ বার রাজ্যব্যাপী আন্দোলনে যাবে বলে তিনি জানান। লালু বলেন, “রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে বিধায়করা মানুষ খুন করাচ্ছেন। বিধায়কদের এখন কাজ হয়েছে মানুষের কল্যাণ না করে খুন করা। এই সব বিহারের মানুষ মানতে চাইছেন না। মানুষ পথে নামবে। সরকারের কত বন্দুক, লাঠি আছে আমরা দেখে নেব।” |
|
|
|
|
|