|
|
|
|
সেই সঞ্জয় জোশীকেই ফের গুরুত্ব গডকড়ীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ‘সমঝোতা’র জন্য দিন চারেক আগে যাঁর কাছ থেকে ইস্তফাপত্র চেয়ে নিয়েছিলেন, উত্তরপ্রদেশে আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে সেই সঞ্জয় জোশীর হাতেই দলের দায়িত্ব দিলেন নিতিন গডকড়ী! আগামী দু’-এক দিনের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশে গিয়ে আগের মতোই সংগঠনের কাজ শুরু করবেন তিনি।
মোদীর চাপেই মুম্বইয়ে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের আগের রাতে সঞ্জয় জোশীর কাছ থেকে ইস্তফাপত্র চেয়ে নেন গডকড়ী। আরএসএসের কাছে তখন প্রাধান্য ছিল মোদীকে তুষ্ট করে মুম্বইয়ে নিয়ে আসা। কারণ, জোশীকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ায় মোদী প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন। সে কারণে দিল্লিতে গত কর্মসমিতির বৈঠকে আসেননি তিনি। পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের প্রচারেও যাননি। দলের ‘ঐক্যে’র চেহারাটি দেখাতে মোদীকে মুম্বইয়ের বৈঠকে আনাটা গডকড়ীর কাছে তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ, সভাপতি পদের মেয়াদ বাড়াতে সংবিধান সংশোধনের সময় মোদীর সম্মতি আদায় করা গডকড়ীর কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেই কাজ মিটে যেতেই জোশীকে ফের উত্তরপ্রদেশে বড় দায়িত্বে নিয়ে এলেন বিজেপি সভাপতি।
গডকড়ী শিবিরের বক্তব্য, সঞ্জয় জোশী কর্মসমিতি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। দল থেকে নয়। ফলে দল তাঁকে ব্যবহার করবেই। আর জোশীকে নিয়ে এ ভাবে গোঁ ধরে থেকে নিজের উচ্চতাকেই খাটো করেছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। গোটা ঘটনায় জোশীর মর্যাদা বাড়ল। আগে যাঁরা তাঁকে চিনতেন না, এখন তাঁরাও তাঁর ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছেন! আজ দিল্লিতে জোশীকে নিয়ে নেতা-কর্মীদের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। ফুলের তোড়া নিয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানাতে অনেকেই ভিড় করেন তাঁর বাড়িতে। বরুণ গাঁধীও তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান।
বিজেপির এক নেতা রসিকতা করে বলেন, “ইস্তফা দিয়েও যে মর্যাদা বাড়ে, তা শুধু আমাদের দলেই দেখা যায়!” জোশী-ঘনিষ্ঠ নেতার বক্তব্য, মুম্বইয়ের বৈঠকের সময় মোদী প্রবল চাপ তৈরি করেন গডকড়ীর উপর। বৈঠকের আগের দিন হুমকিও দেন, জোশী না সরলে মোদী ই কর্মসমিতি ও জাতীয় পরিষদ থেকে ইস্তফা দেবেন। চাপের মুখে মোদীর সঙ্গে সাময়িক ‘যুদ্ধবিরতি’র জন্যই গডকড়ী জোশীকে ইস্তফা দিতে বলেন। কিন্তু সে দিনই জোশীকে জানানো হয়, তিনি তাঁর মতোই কাজ করবেন। প্রয়োজনে পরের লোকসভা ভোটে গডকড়ীর নির্বাচনও সামলাবেন জোশী।
তাঁর অপছন্দের সঞ্জয় জোশীকে নতুন করে দায়িত্ব দেওয়ার পর অবশ্য মোদীর প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে মোদী-ঘনিষ্ঠ এক নেতার কথায়, “আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।” তাঁর বক্তব্য, মোদীর অনেক আগেই মুম্বইয়ের বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য সেখানে যান জোশী। ট্রেনে দিল্লি ফেরার সময় গুজরাতের সুরাতে অভ্যর্থনা নেওয়ার আয়োজনও করেছিলেন তিনি। মোদীর কানে সেই খবর পৌঁছনোয় তা বন্ধ করা হয়। সভাপতি পদের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সংবিধান সংশোধন জাতীয় কমর্সমিতির বৈঠকে মঞ্জুর হয়েছে। জাতীয় পরিষদের বৈঠকে তা অনুমোদন করা বাকি। জল কোন দিকে গড়ায়, সে দিকে নজর রেখে মোদী পরবর্তী কৌশল নেবেন বলে জানান ওই নেতা। |
|
|
|
|
|