ছেলের খুনিদের খুঁজে বের করার আর্জি নিয়ে সোমবার আসানসোলের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ডিসিপি) শীষরাম ঝাঝারিয়ার সঙ্গে দেখা করলেন হিরাপুরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিএম নেতা বামাপদ মুখোপাধ্যায়। এ দিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দিলীপ সরকার ও আসানসোল জোনাল কমিটির সম্পাদক পার্থ মুখোপাধ্যায়। প্রায় আধ ঘণ্টা কথা বলার পরে ডিসিপি-র ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন বামাপদবাবু। তিনি বলেন, “অবিলম্বে আমার ছেলের খুনিদের খুঁজে বের করা না হলে আমি কমিশনারের কার্যালয়ে অবস্থানে বসব।” অভিযুক্তদের ধরার ব্যাপারে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে চাননি তিনি। এ দিন বামাপদবাবু দাবি করেন, ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও কারণে তাঁর ছেলে অর্পণ খুন হননি। |
এ দিন আসানসোলের ডিসিপি শীষরাম ঝাঝারিয়া জানান, অর্পণ মুখোপাধ্যায় খুনের ঘটনার তদন্ত এখনও ঠিক পথেই এগোচ্ছে। তিনি বলেন, “আমরা সব দিক খোলা রেখেই তদন্ত করছি। বেশ কিছু সূত্র পেয়েছি। দ্রুত অপরাধীদের ধরে ফেলা হবে।”
আসানসোল থেকে নিখোঁজ কলকাতার ব্যবসায়ী কৌশিক দাশগুপ্তের এখনও কোনও হদিস মেলেনি বলে জানিয়েছেন ডিসিপি। গত ১০ মে ভোর ৬টা নাগাদ বার্নপুরের ইস্কো ফুটবল স্টেডিয়ামের কাছে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন প্রাক্তন বিধায়কের ছেলে সিপিএম কর্মী অর্পণ মুখোপাধ্যায়। ঠিক তার পরের দিন আসানসোলের একটি হোটেল থেকে নিখোঁজ হয়ে যান কলকাতার ব্যবসায়ী কৌশিক দাশগুপ্ত। তাঁর সঙ্গে অর্পণবাবুর ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল বলে জেনেছে পুলিশ। একটি সূত্র থেকে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, ১০ মে-ই অর্পণবাবুর সঙ্গে ব্যবসা সংক্রান্ত আলোচনার জন্য তিনি আসানসোলে আসেন। কৌশিকবাবুর স্ত্রী আসানসোল দক্ষিণ থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ করেছেন। |