বাড়ির সামনেই কংগ্রেসের চার কর্মী-সমর্থককে কোপাল দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের রামপাড়া চেঁচড়ার গুলডাঙি এলাকায় ওই ঘটনায় দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে গিয়ে হামলাকারীদের আক্রমণ থেকে রেহাই পাননি এক মহিলাও। কংগ্রেস কর্মীর স্ত্রী ওই মহিলার শ্লীলতাহানির চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ। আহতদের বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মালদহের পুলিশ সুপার চিরন্তন নাগ বলেন, “অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি চলছে। উত্তেজনা থাকায় এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।” কংগ্রেসের অভিযোগ, সিপিএমের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা ওই হামলা চালিয়েছে। সিপিএম অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। সিপিএমের তপন জোনাল সম্পাদক নীরোদ দাস বলেন, “এটা কংগ্রেসের চেনা ছক। দলীয় কোন্দলের জের ওরা সবসময়েই আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়।” ব্লক কংগ্রেস সভাপতি রতন সরকার জানান, বছর তিনেক আগে ওই এলাকায় পাটের গাদায় লুকিয়ে রাখা বোমা ফেটে একটি শিশুর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। রতনবাবুর অভিযোগ, সিপিএম কর্মী মতির আলি ওই ঘটনায় যুক্ত বলে গ্রামবাসীরা অভিযোগ জানালেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। সম্প্রতি এলাকার কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা বিষয়টি নিয়ে পুনর্তদন্তের দাবি তোলেন। রতনবাবু বলেন, “তারই জেরে ওই রাতে মতির আলি দলবল নিয়ে বাড়ির সামনে জয়দুর আলিকে কোপান। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন মালেক, বারিক ও রাশেদুল মিঁয়া।” রাশেদুলের স্ত্রী মরিয়ম বিবি বাধা দিতে গেলে তাঁকে মারধর করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা হয় বলে তাঁর অভিযোগ। অভিযোগ অস্বীকার করে নীরোদবাবু বলেন, “মতির আগে দলের কর্মী ছিল। অনেকদিন ধরেই দলের সঙ্গে ওঁর কোনও যোগাযোগ নেই।” ওই ঘটনায় মতির আলি ও তার অনুগামী-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ হয়েছে। |