গুলি চালিয়ে এক ব্যবসায়ীর ৬ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টার ঘটনা নিয়ে শনিবার বিকেলে উত্তাল হয়ে উঠল বিধাননগর। প্রায় দেড় কিলোমিটার ধাওয়া করে বুধারিগাঁও থেকে ৩ দুষ্কৃতীকে ধরে বেধড়ক মারধর করে জনতা। পুলিশ দুষ্কৃতীদের উদ্ধারের চেষ্টা করলে তাদেরও ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পাশাপাশি একটি পুলিশের জিপে ভাঙচুর চলে। দুই কনস্টেবলকে হেনস্থাও করা হয় বলে অভিযোগ। ধৃতদের কাছ থেকে একটি পিস্তল ও একটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম মহম্মদ সইফুল, মহম্মদ বসির এবং মহম্মদ রহিমের বাড়ি চোপড়ায় এবং ইসলামপুরে। তারা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়ারার রাজা। তিনি বলেন, “ছিনতাই করে পালানোর পথে ৩ জনকে মারধর করে জনতা। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন চা ব্যবসায়ী অর্জুন ঘোষ শিলিগুড়ি থেকে ৬ লক্ষ টাকা নিয়ে একটি বাসে বিধাননগরে বাজারে নেমে বাড়ি ফিরছিলেন। সে সময় একটি বাইকে তিন যুবক গিয়ে তাঁর হাত থেকে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। ওই ব্যবসায়ী বাইকের চাবি কেড়ে নেন। বিপদ বুঝে এক যুবক পিস্তল বের করে একটি গুলি ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। বাইকের চাবি নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান অর্জুনবাবু। দুষ্কৃতীরা চাবি না পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। বিষয়টি জনতার নজরে পড়তেই তারা দুষ্কৃতীদের পিছু ধাওয়া করে। পুলিশের একটি দল জনতার সঙ্গে যুক্ত হয়ে দুষ্কৃতীদের পিছু নেয়। সেই সময় দুষ্কৃতীরা আরও একটি গুলি ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত বুধারিগাঁও গ্রামে গিয়ে দুষ্কৃতীদের ধরে জনতা। সেখানে মারধর শুরু হয়। পুলিশ দুষ্কৃতীদের উদ্ধারের চেষ্টা করলে তাদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখায় জনতা। বিধাননগর ব্যবসায়ী সমিতির কর্মকর্তা শিবেশ ভৌমিক বলেন, “দিনে এ ভাবে ছিনতাই বিধাননগরে এর আগে হয়নি। ওই ঘটনায় যাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয় সে ব্যপারে পুলিশকে জানিয়েছি।” |