‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (জিটিএ) গঠনের জন্য ভোটের প্রস্তুতি শুরু করল রাজ্য সরকার।
সরকারি সূত্রের খবর, শুক্রবার মহাকরণ থেকে জিটিএ ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন দফতর নির্বাচনী-ক্ষেত্র পুনর্গঠন সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জিটিএ-সভা গঠনের জন্য দার্জিলিং গোর্খা পার্বত্য পরিষদের (ডিজিএইচসি) নির্বাচনী-ক্ষেত্র পুনর্গঠনের প্রস্তাব চূড়ান্ত হয়েছে। সেই অনুযায়ী, জিটিএ-সভা গঠনের জন্য ৪৫টি নির্বাচনী-ক্ষেত্র ঠিক করা হয়েছে। তার মধ্যে দার্জিলিং মহকুমায় ২২টি, কার্শিয়াঙে ৯টি, কালিম্পঙে ১৩টি এবং তরাই এলাকায় ১টি নির্বাচনী-ক্ষেত্র রয়েছে।
শনিবার দার্জিলিঙের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন বলেন, “জিটিএ-সভার নির্বাচনী-ক্ষেত্র ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। ৭ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। কারও কোনও আপত্তি কিংবা প্রস্তাব থাকলে তা জানাতে পারেন। তার পরেই চূড়ান্ত নির্বাচনী-ক্ষেত্রের ঘোষণা করা হবে।” প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ২ জুন অবধি বিডিও, এসডিও এবং জেলাশাসকের দফতরে ওই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে আপত্তি বা প্রস্তাব দেওয়া যাবে।
বিজ্ঞপ্তি জারি হতে মোর্চার তরফেই প্রথম আপত্তির কথা জানানো হয়েছে। কয়েকটি নির্বাচনী-ক্ষেত্রের এলাকা ঠিকঠাক নির্ধারিত হয়নি বলে দলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সচিব তথা বিধায়ক হরকা বাহাদুর ছেত্রী বলেন, “ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে আপত্তি জানানো হয়েছে। তবে ৭ দিন সময় রয়েছে। সমস্ত এলাকায় খতিয়ে দেখে প্রশাসন, নির্বাচন দফতরের কাছে জানাব।”
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, পাহাড়ের তিনটি মহকুমার পার্বত্য পরিষদের আসনগুলি নতুন করে সাজা ছাড়াও, তরাইয়ে একটি আসন রাখা হয়েছে। সেবক, চম্পাসারি ফরেস্টের মতো ওই এলাকাগুলি এক সময় পার্বত্য পরিষদের মধ্যেই ছিল। ২০০৯ সালে ওই এলাকাগুলিতে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়নি। সব ঠিক থাকলে আগামী জুন মাসের গোড়ায় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শ্যামল সেনের নেতৃত্বাধীন উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির তরাই-ডুয়ার্সের কিছু এলাকার অন্তর্ভুক্তির দাবি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা। তার পরেই নির্বাচনী প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হতে পারে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, জুলাইয়ের মধ্যেই ভোট করানোর কথা ভেবে এগোনো হচ্ছে। |