ফিরে এলেন ‘খুন’ হওয়া মা-ছেলে
সাগরদিঘির মহিপাল স্টেশনের কাছেই পাওয়া গিয়েছিল এক তরুণী এবং বছর পাঁচেকের একটি শিশুর দেহ। যা দেখে নিজের মেয়ে ও নাতি বলে শনাক্ত করেছিলেন মুর্শিদাবাদের গোকুলতা গ্রামের এক দম্পতি। শুধু তাই নয়, মেয়ে-নাতি খুনের পিছনে জামাইকে দায়ী করে পুলিশে অভিযোগও দায়ের করেছিলেন তাঁরা।
শনিবার অভিযুক্ত সেই জামাই আনারুল শেখ তাঁর স্ত্রী রেজিনা বিবি ও ছেলে রহিদুল শেখকে সঙ্গে নিয়ে সশরীরে সাগরদিঘি থানায় হাজির হয়ে প্রশ্ন করেছেন, “কে বলল, আমি বৌ-ছেলেকে খুন করেছি!”
শুক্রবার ওই দেহ দু’টি নিজের মেয়ে ও নাতি বলেই শনাক্ত করেন রেজিনার বাবা-মা সাকিমুদ্দিন ও হামিদা বিবি। ‘খুনের’ পিছনে জামাই আনারুলকেই দায়ী করেন তাঁরা। পুলিশ অবশ্য সিয়ারা গ্রামে গিয়ে আনারুল বা তাঁর পরিবারের কাউকে পায়নি। তবে গ্রামবাসীদের কাছে থেকে ফোনে খবর পেয়েই এ দিন সাগরদিঘি থানায় সস্ত্রীক হাজির হন আনারুল। থানায় ডেকে পাঠানো হয় সাকিমুদ্দিনকেও। নিজের মেয়ে-নাতিকে দেখে তিনি জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকেন। তা হলে? পুলিশ জানায়, দেহ দু’টি এমন কিছু বিকৃত হয়নি, যা দেখে তাঁদের চিনতে অসুবিধা হবে। তবে ভুল হল কেন? সাকিমুদ্দিন বলছেন, “বুঝতে পারছি, বড় ভুল হয়েছে।” আনারুল বলেন, ‘‘স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে কয়ে দিন আগে রাজমিস্ত্রির কাজে হুগলির বাঁশবেড়িয়ায় চলে গিয়েছিলাম। গ্রামের লোকের কাছে খবর পেয়ে তাই থানায় চলে এলাম।”
জেলার এসপি সুপার হুমায়ুন কবীরের বক্তব্য, ‘‘বাবা-মা যদি মেয়ের মৃতদেহ চিনতে ভুল করেন, তা হলে পুলিশ কী করবে বলুন তো!” তিনি জানান, পুলিশ আনারুলের বিরুদ্ধে রুজু করা খুনের মামলা তুলে নেবে।
মহিপালে উদ্ধার হওয়া দেহ দু’টি তবে কার? পুলিশ সুপার বলছেন, “ফের নতুন করে তদন্ত শুরু করতে হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.