ভরদুপুরে বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কিন্তু তার পরেও আতঙ্ক পিছু ছাড়েনি উত্তর ২৪ পরগনার বিশরপাড়ার নিহত পুলিশকর্মী অসীম দামের পরিবারের। অসীমবাবুর ভাগ্নি মামনি ধরের অভিযোগ, রাস্তায় বেরোলেই অভিযুক্তদের সঙ্গীরা তাঁদের ভয় দেখাচ্ছে। ওই পুলিশকর্মীর খুনের মামলায় সাক্ষী দেওয়া থেকে বিরত থাকতেই হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ। এই নিয়ে শুক্রবার এবং শনিবার, নিমতা থানায় দু’টি পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছেন মামনি। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই তরুণী যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তারাও পুলিশের কাছে মামনি ধরের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছে।
গত ৮ মার্চ দোলের দিন বিশরপাড়ায় অসীম দামের বাড়িতে হামলা চালায় এক দল দুষ্কৃতী। বাড়ির মহিলাদের শ্লীলতাহানি করায় বাধা দিতে গিয়ে খুন হন অসীমবাবু। ঘটনার পরে স্থানীয় দু’টি থানার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। পরে ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সিআইডিকে। অভিযুক্ত ৮ জনের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ১৮ মে ব্যারাকপুর আদালতে খুনের ঘটনায় চার্জশিট জমা দিয়েছে সিআইডি। অসীমবাবুর পরিবারের অভিযোগ, এর পর থেকে তাঁদের হুমকি দিয়ে বলা হতে থাকে, আদালতে সাক্ষী দিতে গেলে মেরে ফেলা হবে।
মামনির অভিযোগ, গত মঙ্গলবারও প্রয়াত অসীমবাবুর বাড়িতে হামলা চালায় এক দল দুষ্কৃতী। ওই ঘটনার কথা এয়ারপোর্ট থানাকে জানানো সত্ত্বেও কোনও সাহায্য মেলেনি। পরে তাঁরা বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে ফোন করে সাহায্য চাইলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এর পরে ওই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে তাঁরা জামিনও পেয়ে যান। পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার মামনি অভিযোগ জানানোর পর রাতে অভিযুক্তরাও পাল্টা অভিযোগ দায়ের করে। শনিবার মামনির সঙ্গে কথা বলতে তাঁকে থানায় ডেকে পাঠায় পুলিশ। মামনি জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি নিমতা থানা এলাকায় হওয়ায় তিনি নিমতা থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। এ দিন তিনি ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করেন। অসীমবাবুর বাড়ি বিধাননগর কমিশনারেটের অধীন এয়ারপোর্ট থানা এলাকায়। তাই বিষয়টি তিনি সেখানকার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে জানান। |