তিনটি পথ দুর্ঘটনায় শনিবার দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এক বালক আহত।
সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয় মোটরবাইকে সওয়ার একই পরিবারের তিন জনের। পুলিশ জানায়, ডেবরার মালিঘাটির মইদুল ইসলাম (২৪) তাঁর বাবা শেখ আব্দুল (৪৫) এবং মা সায়রা বিবিকে (৪২) মোটরবাইকে বসিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছিলেন। বালিচকের পথে হরিহরপুরে একটি দোকানে তাঁরা খাওয়া-দাওয়া করেন। তার পরে ফের যাত্রা শুরু করতেই উল্টো দিক থেকে স্টোন-চিপ্স বোঝাই একটি ট্রাক মোটরবাইকটিকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মারা যান মইদুল। তাঁর বাবা-মাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ডেবরা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁদের মৃত্যু হয়। পুলিশ ট্রাকটি আটক করেছে। চালক পলাতক। |
ডেবরায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাইক। নিজস্ব চিত্র। |
আর একটি দুর্ঘটনা ঘটে হুগলির হরিপালের মহেশটিকরির কাছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে। জামাইষষ্ঠীর নিমন্ত্রণ সারতে স্ত্রী রীতা মিত্র (৩৫) এবং বছর এগারোর ছেলে অরিজিৎকে নিয়ে গাড়িতে শ্বশুরবাড়ি বর্ধমানের নীলপুরে যাচ্ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের প্রতাপগড়ের বাসিন্দা অশোক মিত্র (৪৫)। পুলিশ জানায়, গাড়িটি দ্রুত গতিতে চলছিল। ৯টা নাগাদ গাড়িটি একটি বাসকে ওভারটেক করে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ডান দিকের ‘ডিভাইডার’-এ ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। আহত তিন জনকে সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সেখানেই দম্পতির মৃত্যু হয়। শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে দেহ দু’টির ময়না-তদন্ত হয়। অশোকবাবু পেশায় আইনজীবী ছিলেন।
ভোরে নদিয়ার নাকাশিপাড়ার যুগপুরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ট্রাকের ধাক্কায় সন্দীপ কুমার (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। তিনি রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে রেডিয়াম রিফ্লেক্টর লাগাচ্ছিলেন। ওই সময় দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে। সন্দীপের বাড়ি নয়াদিল্লিতে। পুলিশ সুপার সব্যসাচীরমণ মিশ্র বলেন, “পুলিশের অনুমতি নিয়েই একটি বেসরকারি সংস্থা ওই কাজ করছিল। সেই সংস্থার হয়েই কাজ করছিলেন ওই যুবক।” অন্য দিকে, সকালে পূর্ব মেদিনীপুরে চণ্ডীপুরের মগরাজপুরের কয়ালচক গ্রামে তমলুক-দিঘা রেললাইনের ধার থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় মাজেদা বিবি নামে তিরিশোর্ধ্ব এক মহিলাকে উদ্ধার করেন রেলকর্মী ও পুলিশকর্মীরা। তাঁর বাড়ি নন্দীগ্রামের চম্পাইনগরে। তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে পুলিশ জেনেছে। ট্রেনের ধাক্কায় তিনি আহত হন বলে পুলিশের অনুমান। |