যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁর কাছেই তদন্তের জন্য দরবার! দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদের নামে এমনটাই করে বসে আছেন অণ্ণা হজারে ও তাঁর সহযোগীরা।
প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, অর্থমমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মন্ত্রিসভার ১৫ জন সদস্য ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলে অভিযোগ তুলেছে ‘টিম-অণ্ণা’। প্রধানমন্ত্রীর কাছেই চিঠি দিয়ে মন্ত্রীদের দুর্নীতি নিয়ে বিশেষ তদন্ত দল গঠনের দাবি জানিয়েছে তারা। ২৫ জুলাই থেকে অনির্দিষ্ট কালের অনশনে বসার হুমকি দিয়েছে টিম অণ্ণা। তার আগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কিরণ বেদী, প্রশান্ত ভূষণদের এই নতুন ‘জেহাদ’-কে মোটেই গুরুত্ব দিচ্ছে না কংগ্রেস। অণ্ণাদের অভিযোগকে ‘পুরোপুরি ভিত্তিহীন’ আখ্যা দিয়ে কংগ্রেস বরং পাল্টা আক্রমণের পথে। কংগ্রেসের বক্তব্য, টিম অণ্ণার সদস্যদের মধ্যেই এখন বিবাদ শুরু হয়েছে। দুর্নীতি-বিরোধী অভিযানের নামে গড়ে তোলা তহবিলের অর্থ নয়ছয় নিয়ে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে অণ্ণার কাছে নালিশ করেছেন কিরণ। এ সব থেকে আমজনতার নজর ঘুরিয়ে দিতেই কেজরিওয়ালরা এ সব করছেন।
প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ হিসেবে সিএজি-র খসড়া রিপোর্টকে অস্ত্র করেছে ‘টিম অণ্ণা।’ প্রধানমন্ত্রী কয়লা মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকার সময় কয়লার ব্লক বণ্টনে দুর্নীতি হয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ। প্রণববাবু প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকাকালীন সাবমেরিন কেনায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন অণ্ণারা। কেন্দ্রীয় সরকারের মাথারাই দুর্নীতিগ্রস্ত বলেই তাঁরা লোকপাল গঠনে সদিচ্ছা দেখাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ তাঁদের। মনমোহন ও প্রণববাবু ছাড়া তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে পি চিদম্বরম, শরদ পওয়ার, এস এম কৃষ্ণ, কমলনাথ, প্রফুল্ল পটেল, বিলাসরাও দেশমুখ, বীরভদ্র সিংহ, কপিল সিব্বল, সলমন খুরশিদ, জি কে ভাসান, ফারুখ আবদুল্লা, এম কে আলাগিরি, সুশীলকুমার শিন্ডের বিরুদ্ধেও। পাশাপাশি মায়াবতী-মুলায়ম-লালু প্রসাদ-জয়ললিতার দুর্নীতি নিয়েও তদন্তের দাবি জানিয়েছেন অণ্ণা-অনুগামীরা। অরবিন্দ বলেন, “কেন্দ্র ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে বিশেষ তদন্তকারী দল না গড়লে পরের দিন থেকে আমরা অনির্দিষ্ট কালের জন্য অনশনে বসব।” |