ভিড়ে ভরা স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম ইনস্পেক্টরের ঘরের সামনে ছুরি মেরে এক মহিলাকে খুন করলেন এক ব্যক্তি। এর পর ওই ছুরি দিয়েই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন আততায়ী। শনিবার রাত সওয়া ৯টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে শিয়ালদহ স্টেশনের ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে।
এই ঘটনার পর স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে প্ল্যাটফর্মে পুলিশি নজরদারির বহর নিয়ে। রেলপুলিশ জানায়, নিহত আশা ঘোষ গড়িয়ার বাসিন্দা।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম গৌতম ঘোষ, বাড়ি গিরিশ পার্কে। ওই এলাকার একটি সোনার দোকানে কাজ করেন। ঘটনার পর দু’জনকেই স্টেশন থেকে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আশাদেবীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আততায়ীর অবস্থা গুরুতর। |
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে পুলিশ জেনেছে, আশা ও গৌতম দু’জনেই তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মের ইনস্পেক্টরের ঘর সংলগ্ন দরজার কাছে বেশ কিছু ক্ষণ বসে কথা বলছিলেন। আচমকাই দৌড়তে শুরু করেন আশা। কিছুটা এগোতেই ছুরি বের করে তাঁকে আঘাত করেন গৌতম। রক্তাক্ত অবস্থায় কোনওমতে ফের দৌড়তে শুরু করেন আশা। তাঁর চটিজোড়া পড়ে থাকে সেখানেই। ৩ নম্বর গেট লাগোয়া ইনস্পেক্টরের ঘরের কাছাকাছি আসতেই গৌতম পিছন থেকে আশার মাথা ও ঘাড়ের মাঝামাঝি জায়গায় ছুরি মারেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। ছুরির আঘাতে চিৎকার করে লুটিয়ে পড়েন আশা। এর পর ওই
ছুরি নিজেরই পেটে ঢুকিয়ে দেন গৌতম। কয়েক মুহূর্তের মধ্যে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় প্ল্যাটফর্ম চত্বরে। হাসপাতালে অভিযুক্ত গৌতমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, আশা বিবাহিত। গৌতমের সঙ্গে তাঁর বেশ কিছু দিনের সম্পর্ক। সেই সম্পর্ককে কেন্দ্র করেই তাঁদের মধ্যে কোনও সমস্যা চলছিল বলে অনুমান পুলিশের। তার জেরেই এই ঘটনা কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, রেলপুলিশের কর্মীরা ইনস্পেক্টরের ঘরের সামনে প্ল্যাটফর্মের অংশ ঘিরে রেখেছেন। সামান্য দূরত্বের মধ্যেই দু’ জায়গায় রক্ত পড়ে রয়েছে। ঘটনাস্থল থেক উদ্ধার হয়েছে ছুরিটিও। |