পুলিশকর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু |
ফাঁড়ি লাগোয়া ভাড়া বাড়িতে এক পুলিশ কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকা বাজার এলাকায় বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম মহম্মদ সামসুদ্দিন (৫৮)। তাঁর বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের পশ্চিম দুর্গাপুরে। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে ভালুকা ফাঁড়িতে কনস্টেবল হিসাবে কর্মরত ছিলেন তিনি। ৮ বছর আগে দুর্ঘটনায় তাঁর পা জখম হয়। তারপর থেকে লাঠি নিয়ে হাঁটতে হত। সম্প্রতি তাঁর বদলি হয় মালদহের গোলাপগঞ্জ ফাঁড়িতে। বুধবার স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি থেকে ভালুকায় ফেরেন তিনি। বিকালে রিলিজও নিয়ে নেন। এদিন সকালেই তাঁর পরবর্তী কর্মস্থলে চলে যাওয়ার কথা ছিল। সকালে অচেতন অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসক মৃত বলে জানিয়ে দেন। বেশ কিছুদিন ধরেই ওই পুলিশ কর্মী পেটের রোগে ভুগছিলেন বলে পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। বাড়ির বাইরে ঘটনাটি ঘটায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “ওই পুলিশ কর্মী অসুস্থ ছিলেন। ফলে তাঁর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। পরে যাতে প্রশ্ন না ওঠে সে জন্য ময়নাতদন্ত হচ্ছে।” ভালুকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক দিলীপ সিংহ জানান, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছনোর আগেই ওই পুলিশ কর্মী মারা যান। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওই পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে। বুধবার রাতে বিস্কুট ও শশা ছাড়া কিছু খাননি ওই পুলিশ কর্মী। ভোরে বাথরুম থেকে ফিরে ফের শুয়ে পড়েন। মৃতের স্ত্রী রাজেনা বিবি বলেন, “উনি খাটে ও আমি নীচে মাদুর পেতে শুয়েছিলাম। সকালে ডেকেও সাড়া না মেলায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাই।”
|
পুলিশ বলে পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীর বাড়ির গেটের তালা ভেঙে ঢুকে সোনা ও নগদ টাকা মিলিয়ে লক্ষাধিক টাকা লুট করে পালাল দুষ্কৃতীরা। বুধবার গভীর রাতে ইসলামপুরের ব্লকপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। লুটপাটের সময়ে দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমায় এলাকার এক ব্যক্তি জখম হন। দুষ্কৃতীদের মারধরে জখম হন ওই ব্যবসায়ীও। ওই ব্যবসায়ীকে শিলিগুড়িতে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। জখম পড়শিকে ভর্তি করানো হয়েছে ইসলামপুর হাসপাতালে। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ওই বাড়িতে যায়। দুষ্কৃতীরা তার আগেই পালিয়ে যায় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ইসলামপুর থানার আইসি সমীর পাল বলেন, “এ ধরনের একটি অভিযোগ জমা পড়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।” পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা সংখ্যায় ছিল প্রায় ১৫ জন। বেশ কয়েকজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। দুষ্কৃতীরা রাত পৌনে দুটো নাগাদ বিশ্বজিৎ নন্দী নামে ওই কাপড়ের ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয়। প্রথমে পুলিশ বলে পরিচয় দিয়ে বিশ্বজিৎবাবুর স্ত্রী প্রতিভা দেবীকে গেট খোলার নির্দেশ দেয়। জানালা দিয়ে দুষ্কৃতীদের দেখে ফেলার পরে প্রতিভা দেবী বাড়ির লোকজনকে ডাকাডাকি শুরু করেন। সেই সময়ে দুষ্কৃতীরা গেট ভেঙে বাড়িতে ঢুকে পড়ে বলে অভিযোগ। বিশ্বজিৎবাবুর পরিবারের লোকেরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান, বাড়ির গেটের তালা ভেঙে ঢুকে পড়ার পরে দুষ্কৃতীরা কুড়াল দিয়ে কাঠের দরজা ভেঙে ঘরের ভিতরে ঢুকে ব্যবসায়ী ও তার স্ত্রীর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে আলু বিক্রির ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে। সে সময়ে দুষ্কৃতীরা পাশের ঘরে দরজাও কুড়াল দিয়ে ভেঙে ফেলে। বিশ্বজিৎবাবুর ভাইপো সুদীপ্ত পাশের ঘর থেকে এলে দুষ্কৃতীরা তাঁকে পিস্তল দেখিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ। |