রাজ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্সে জেলার সাফল্য উত্তরবঙ্গেও অব্যাহত। বৃহস্পতিবার ফল প্রকাশের পর দেখা যায় মেডিক্যালে পঞ্চম স্থান পেয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর হাইস্কুলের ছাত্র বিশাল কুণ্ডু। গঙ্গারামপুরের ইন্দ্রনারায়ণপুর কলোনির বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক বিবেকানন্দবাবু এবং স্বাস্থ্যকর্মী শিল্পীদেবীর একমাত্র সন্তান বিশাল। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর সাফল্যের খবর পোঁছতেই এলাকায় খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধবদের পাশাপাশি বিশালদের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে আসেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সত্যেন রায়-সহ পুরসভার প্রতিনিধিরা। ছেলের সাফল্যে অভিভূত অভিভাবকেরা। তাঁরা দু’জনেই বলেন, “ও জয়েন্টে ভাল ভল করবে জানতাম।” প্রাইভেট টিউশনের পাশাপাশি বিশাল একটি কোচিং সেন্টারেও পড়াশুনো করেছে। সেখানে প্রতিবার টেস্টে প্রথম পাঁচজনের মধ্যে থাকত বলে তাঁর বাবা-মা জানিয়েছেন। |
বিশালের কথায়, “ভাল পরীক্ষা হয়েছিল। তবে পঞ্চম স্থানে থাকব ভাবিনি। বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চাই।” স্বামী বিবেকানন্দের বই পড়া, টিভি দেখা ছাড়াও গানও শিখছেন বিশাল। এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাও দিয়েছেন। স্কুলের শিক্ষকের বিশালের সাফল্যে খুশি। পিছিয়ে নেই পাশের জেলা উত্তর দিনাজপুর। মেডিক্যালে সাধারণদের মধ্যে ২১তম এবং তফশিলিদের মধ্যে প্রথম স্থান দখল করেছে রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের ছাত্র পল্লব সিংহ। ইন্টারনেটে ফল জানার পরেই খুশির আবহ গোটা পরিবারে। পল্লবের বাবা মধুসূদনবাবু রামগঞ্জ হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। তিনি স্বেচ্ছাবসর নিয়েছেন। মা কৃষ্ণাদেবী উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের কর্মী। সিংহ পরিবার জেলা পরিষদের সরকারি আবাসনে থাকেন। ২০১০ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পল্লব ৭৩১ নম্বর পেয়ে জেলায় প্রথম স্থান দখল করেন। এ বছর স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছেন। ৮ জন শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট টিউশন পড়েছেন পল্লব। মধুসূদনবাবুও ছেলেকে নিয়মিত পড়াতেন। দিনে কয়েক দফায় প্রায় ৮ ঘণ্টা পড়াশুনা করতেন পল্লব।অবসর সময়ে টিভিতে সিরিয়াল ও ক্রিকেট খেলা দেখাই ছিল তাঁর নেশা। পল্লব বলেন, “কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হতে চাই। আরেকটু ফল ভাল হবে ভেবেছিলাম।” |
পল্লবের স্কুলের প্রধান শিক্ষক শুভেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা খুব খুশি। ওঁর জন্য শুভেচ্ছা, আর্শীবাদ রইল।” ভাল ফল হয়েছে কোচবিহারেও। গত বছর দিনহাটা হাইস্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা বিশ্বজিৎ সাহা মেডিক্যালে ২৮৪ র্যাঙ্ক করেছেন। তুফানগঞ্জের বাসিন্দা দুই ভাইবোন একই সঙ্গে মেডিক্যালে সুযোগ পেয়েছেন। এর মধ্যে বিপ্রেশ চক্রবর্তী মেডিক্যালে ৫৮১ এবং মঞ্জরী চক্রবর্তী ৩৫৮ র্যাঙ্ক পেয়েছেন। |