নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার |
আলিপুরদুয়ারকে পৃথক জেলা করার প্রস্তাব সর্বসম্মত ভাবে গৃহীত হল সর্বদল বৈঠকে। জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দফতরে বৃহস্পতিবার সেই বৈঠকে প্রস্তাবিত নতুন জেলার ভৌগোলিক সীমা কী হবে, তা নিয়ে তিনটি প্রস্তাবও দিয়েছে প্রশাসন। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, প্রথম প্রস্তাবটি হল, বর্তমান আলিপুরদুয়ার মহকুমার অর্ন্তগত যে ছটি ব্লক রয়েছে, সেগুলি নিয়েই নতুন জেলা গঠিত হোক। তবে তার সঙ্গে জলপাইগুড়ি সদর মহকুমার ধূপগুড়ি ব্লকের বিন্নাগুড়ি ও সাকোয়াঝোড়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাও প্রস্তাবিত নতুন জেলায় রাখার
কথা রয়েছে।
তার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রশাসন জানিয়েছে, জেলা ভাগ হলেও বর্তমান কোনও বিধানসভা বা লোকসভা কেন্দ্রের এলাকার পুনর্বিন্যাস করা হবে না। তাই প্রশাসনিক কাজের সুবিধের জন্য আলিপুরদুয়ার মহকুমার মাদারিহাট বিধানসভার ধূপগুড়ির ওই দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাকেও নতুন জেলায় ঢোকানোর কথা বলা হয়েছে। দ্বিতীয় প্রস্তাবটি হল, আলিপুরদুয়ার মহকুমার ছ’টি ব্লক-সহ সদর মহকুমার ধূপগুড়ি ব্লক নিয়ে নতুন জেলা গঠন করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে ধূপগুড়ি ব্লকের দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েত চামুর্চি ও বানারহাটকে নতুন জেলার বাইরে রাখা হবে। যে হেতু ওই দু’টি এলাকা মালবাজার মহকুমার নাগরাকাটা বিধানসভার অর্ন্তগত। তৃতীয় প্রস্তাব হল, মাদারিহাট ব্লককে বাদ রেখে বর্তমান আলিপুরদুয়ার মহকুমার বাকি পাঁচটি ব্লক নিয়ে নতুন জেলা গঠন। প্রস্তাবগুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পরে বাম দলগুলির প্রতিনিধিরা চূড়ান্ত মতামত দেওয়ার জন্য আরও কিছুটা সময় চান।
তাঁদের আর্জি মেনে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব জানিয়ে দেন, আগামী ২৮ মে ফের জেলাশাসকের দফতরে বৈঠক হবে। গৌতমবাবু বলেন, “জেলা ভাগের সিদ্ধান্ত সমর্থন করে এদিন সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ২৮ মে ফের বৈঠক হবে। আমরা চেষ্টা করব সেই বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য তা রাজ্য সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। রাজ্য মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।” আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন এলাকায় এই দিন আবির খেলাও শুরু হয়ে যায়। রাত পর্যন্ত আতসবাজির রঙিন আলোয় ছেয়ে ছিল আকাশ। |