|
|
|
|
পাল্টা ‘মূল্যায়ন’ নিয়ে ১৫ জুন আসরে বামেরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
প্রথম বর্ষপূর্তিতে সরকারি সমারোহের পাল্টা অনুষ্ঠান করবে বিরোধী বামফ্রন্ট। সরকারি পুস্তিকার পাল্টা বই বার করে মমতার সরকারের প্রথম বছরের কাজের তাদের তরফে ‘মূল্যায়ন’ করবে বামেরা। চার দেওয়ালের মধ্যেই সেই অনুষ্ঠানকে জনসভার চেহারা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সে জন্য ১৫ জুন শহরের কোনও প্রেক্ষাগৃহ ‘বুক’ করতে চান বাম নেতৃত্ব।
প্রথম বছরে তাঁদের সরকারের কাজের বিশদ খতিয়ান জনসমক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতার পেশ করার কথা ২০ মে। গত বছর ওই দিনেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন তিনি। মহাকরণে এক বছর কাটানোর বর্ষপূর্তিতে সরকারি আয়োজনে মেলাও হচ্ছে। যেখানে স্টলে স্টলে সরকারি কাজের ও বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগসুবিধার বিশদ তথ্য জেনে নেওয়ার সুযোগ থাকবে জনতার জন্য। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, এক বছরের মধ্যে ১০০%-এরও বেশি কাজ করা হয়ে গিয়েছে তাঁদের সরকারের। এই ‘আত্মমূল্যায়নে’রই পাল্টা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বামফ্রন্ট।
ফ্রন্ট নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, শুধু মমতার সরকারের কাজের পাল্টা মূল্যায়ন বা সমালোচনাই তাঁদের পুস্তিকার প্রতিপাদ্য হবে না। জ্যোতি বসুর নেতৃত্বে ১৯৭৭ সালে প্রথম বাম সরকার ক্ষমতায় আসার পরে প্রথম বছরে কী কী কাজ করেছিল, তুলনামূলক আলোচনার জন্য তা-ও ফিরে দেখার ব্যবস্থা থাকবে। এই কাজের জন্য দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী ও রাজ্য কমিটির একাধিক সদস্যকে দায়িত্ব দিয়েছে সিপিএম। আর রাজ্য সরকারের পুস্তিকায় কী থাকে, তা দেখে বাকি অংশের কাজ সম্পূর্ণ করা হবে। তার পরে ১৫ জুন অনুষ্ঠান করে সেই পাল্টা পুস্তিকা আনতে চাইছে বামফ্রন্ট। জ্যোতিবাবুর নেতৃত্বে প্রথম বাম-মন্ত্রিসভা শপথ নেয় ১৯৭৭-এর ২১ জুন। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য শুক্রবার বলেন, “এক বছরে নতুন সরকারকে পুরোপুরি মূল্যায়ন করা যায় না। কিন্তু সরকারের কাজের অভিমুখ এই ১২ মাসে বোঝা যাচ্ছে। সরকারের কাজকর্ম নিয়ে আমাদের বক্তব্য মানুষের কাছে তুলে ধরতেও শুরু করেছি। ফ্রন্টের তরফে সেটাই আরও সংহত ভাবে করা হবে ১৫ জুন।”
প্রথম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের দফতরে কোনও বার্তা আসেনি। আমন্ত্রণ এলেও তাঁর সেখানে না-থাকারই সম্ভাবনা। শহরের বাইরে সে দিন তাঁর কর্মসূচি আছে। প্রাক্তন ভূমিমন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লার মতো কেউ অনুষ্ঠানে যান কি না, বা দল কাউকে পাঠায় কি না, এ প্রশ্নে কৌতূহল রয়েছে বাম রাজনীতিতে। মুখ্যমন্ত্রীকে আরও দু’টি চিঠি দিয়েছেন সূর্যবাবু। সল্টলেকে ‘লিজ’ দেওয়া জমিতে ‘ন্যাচারাল রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সেন্টার’ (এনআরএমসি) গড়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে নাবার্ড লখনউয়ে ওই কেন্দ্র তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে এবং রাজ্য তাতে ‘সম্মতি’ দিয়েছে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে একটিতে। অন্যটিতে দাবি করা হয়েছে কালবৈশাখী, শিলাবৃষ্টি বা বজ্রপাতে মৃতদের ক্ষতিপূরণের। |
|
|
|
|
|