|
|
|
|
জট কাটালেন সেই মমতা, চাল রাখতে গুদাম দেবে রেল |
কাজী গোলাম গউস সিদ্দিকী • কলকাতা |
রাজ্যে ধান সংগ্রহের অভিযান নিছক গুদাম-সমস্যার জেরে থমকে যাক, রেলও তা চায় না। তাই এই ব্যাপারে রাজ্যের খাদ্য দফতরের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার হাওড়া ও শিয়ালদহ ডিভিশনের ডিআরএম-রা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় চাল রাখার জন্য গুদাম দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। খাদ্যমন্ত্রীর দাবি, এই প্রথম এফসিআই ছাড়া অন্য কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা এই ধরনের সমস্যা মেটাতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিল। এবং সেটা সম্ভব হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপেই।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ধান কিনে চাল তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু গুদামের অভাবে প্রায় এক লক্ষ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন চাল নিজেদের সংগ্রহে রাখতে পারছে না খাদ্য দফতর। চালকল থেকে সেই চাল আনতে না-পারায় নতুন করে ধান সংগ্রহের ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।” খাদ্য দফতরের গুদামে মাত্র ৭৩ হাজার মেট্রিক টন চাল রাখা যায়। এফসিআইয়ের কাছ থেকে পাওয়া যায় সাড়ে তিন লক্ষ মেট্রিক টনের গুদাম। কিন্তু রাজ্যের এখন ১২ লক্ষ মেট্রিক টন চাল রাখার মতো গুদাম প্রয়োজন। তাই সমস্যা বেশ জটিল আকার নিয়েছে।
এ বার চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ২০ লক্ষ মেট্রিক টন। এ-পর্যন্ত সংগ্রহের পরিমাণও ভাল। খাদ্য দফতর ঠিক করেছে, রেশনের জন্য ভিন্ রাজ্য থেকে চাল আনা হবে না। চাল দেওয়া হবে নিজস্ব সংগ্রহ থেকেই। এ রাজ্যে বছরে ১২ লক্ষ মেট্রিক টন চাল লাগে রেশনে। মিড-ডে মিলের চালও রাজ্যের সংগ্রহ থেকে সরবরাহ করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। তা করতে হলে চাল মজুতের পরিমাণও বাড়াতে হবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “গুদামের অভাবে যে ধান সংগ্রহ মার খেতে চলেছে, সে-কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম। তখনই তিনি রেলের সঙ্গে কথা বলেন।” জ্যোতিপ্রিয়বাবু তিনিও ফোন করেন রেলমন্ত্রী মুকুল রায়কে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগমের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। তার পরে গত বৃহস্পতিবার হাওড়া ও শিয়ালদহ ডিভিশনের ডিআরএম-রা খাদ্যমন্ত্রীকে টেলিফোনে জানিয়ে দেন, দিল্লি থেকে নির্দেশ এসেছে গিয়েছে। চাল রাখার জন্য খাদ্য দফতরকে রেলের গুদাম দেওয়া হবে। খাদ্যমন্ত্রী জানান, রেল প্রতিটি জেলাতেই ২০০০ থেকে ৫০০০ মেট্রিক টল চাল রাখার মতো গুদাম দেবে দু’বছরের জন্য। খাদ্য দফতর গুদামের ভাড়া দেবে। ইতিমধ্যেই অবশ্য কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তায় এক হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য রাখার মতো গুদাম তৈরির কাজে হাত দিয়েছে খাদ্য দফতর। প্রতিটি ব্লকে নিজস্ব গুদাম তৈরি করাই ওই দফতরের লক্ষ্য। তাই খাস জমির ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে জেলাশাসকদের। |
|
|
|
|
|