|
|
|
|
কাজ না-হওয়ায় অখুশি ব্রাত্য |
আমলার বদলে শিক্ষা টাস্ক ফোর্সে শিক্ষক |
সাবেরী প্রামাণিক • কলকাতা |
স্কুলশিক্ষার নানা ক্ষেত্রে উন্নয়নের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি টাস্ক ফোর্স গড়া হয়েছিল। কিন্তু সাত মাসেও কাজ প্রায় কিছুই হয়নি। তাই টাস্ক ফোর্সগুলিকে ঢেলে সাজলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। টাস্ক ফোর্সগুলির মাথায় ছিলেন আমলারা। কাজের অগ্রগতিতে অখুশি মন্ত্রী এ বার দায়িত্ব দিলেন অভিজ্ঞ শিক্ষকদের।
স্কুলে মিড-ডে মিল, স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়ন, স্কুলছুট কমানো, শিক্ষক নিয়োগ, পাঠ্যক্রম তৈরি ইত্যাদি বিষয় খতিয়ে দেখে কী ভাবে কাজের মান আরও উন্নত করা যায়, সেই বিষয়ে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য গত বছর নভেম্বরে ন’টি টাস্ক ফোর্স গড়া হয়েছিল। স্কুলছুট পড়ুয়াদের ব্যাপারে গঠিত দলের মাথায় ছিলেন স্কুলশিক্ষা অধিকর্তা দিব্যেন মুখোপাধ্যায়, মিড-ডে মিলের ব্যাপারে তৈরি করা টাস্ক ফোর্সের দায়িত্বে ছিলেন স্কুলশিক্ষা দফতরে ওই প্রকল্পের অধিকর্তা নরেন্দ্রনাথ বর্মন, পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ কয়েকটি টাস্ক ফোর্সের দায়িত্ব ছিল সর্বশিক্ষা প্রকল্পের অধিকর্তা ছোটেন ধেনদুপ লামার উপরে। রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়ও কয়েকটি টাস্ক ফোর্সের দায়িত্বে ছিলেন।
সম্প্রতি টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী। স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, বৈঠকে মন্ত্রী বিভিন্ন টাস্ক ফোর্সের কাজের হাল জানতে চান। কোন কোন টাস্ক ফোর্সের রিপোর্ট জমা পড়েছে, তার খোঁজ নেন। কিন্তু তিনি জানতে পারেন, বেশির ভাগ টাস্ক ফোর্সের কাজ তেমন এগোয়নি।
তার পরেই টাস্ক ফোর্সগুলিকে ঢেলে সাজার সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষামন্ত্রী। পরে তিনি বলেন, “টাস্ক ফোর্সগুলির কাজ তেমন এগোয়নি। আসলে দফতরে লোক কম বলে আমলাদের উপরে কাজের চাপ বেশি। ওঁদের সময় কম। তাই নেতৃত্বে ওঁদের রাখা হয়নি। ওঁরা থাকছেন পদাধিকারবলে। টাস্ক ফোর্সের সংখ্যা ৯ থেকে কমিয়ে ৭ করা হয়েছে।”
শিক্ষামন্ত্রীর আশা, টাস্ক ফোর্সে আমলা-নির্ভরতা কমিয়ে অভিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষাব্রতীদের দায়িত্ব দেওয়া হলে ফল মিলবে। তিনি জানান, সাখাওয়াত, বেথুন, বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট, সাউথ পয়েন্ট ইত্যাদি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের নেতৃত্বে নতুন টাস্ক ফোর্স গড়া হয়েছে। পাঠ্যক্রম সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্কুলের পাঠ্যক্রম কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদারকে। মন্ত্রী বলেন, “স্কুলের পাঠ্যক্রম কমিটির সুপারিশ ঠিক ভাবে মানা হচ্ছে কি না, বই ছাপা থেকে বিতরণ, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পড়ানোর ধরন ইত্যাদি বিষয়ে নজর রাখবে এই টাস্ক ফোর্স।” |
|
|
|
|
|