জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় এ বারও বাজিমাত করলেন বাঁকুড়ার দুই ছাত্র। মেডিক্যালে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে বাঁকুড়ার পোয়াবাগানের বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের তথাগত শ্রীমানী। ইঞ্জিনিয়ারিং-এ দশম স্থান পেয়েছে বাঁকুড়া জেলা স্কুলের শৈবাল দে।
পোয়াবাগানের বাসিন্দা তথাগত-র প্রিয় বিষয় পদার্থ বিজ্ঞান হলেও তিনি ডাক্তারি পড়তে চান। তাঁর কথায়, “ইচ্ছা রয়েছে ভবিষ্যতে ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা করব। তবে সর্বভারতীয় আরও কিছু প্রবেশিকা পরীক্ষার ফল বের হয়নি। সেই ফল দেখে কোথায় পড়ব সিদ্ধান্ত নেব।” একমাত্র সন্তানের সাফল্যে স্বভাবতই খুশি তাঁর বাবা বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ‘রেডিওলজিস্ট’ বিন্দুবিকাশ শ্রীমানী। তিনি বলেন, “মাধ্যমিকেও তথাগত ওই স্কুল থেকেই রাজ্যে নজরকাড়া সাফল্য পেয়েছিল। তাই জয়েন্ট এন্ট্রান্সে ওর সাফল্য প্রত্যাশা ছিল।” এই কৃতী ছাত্র পড়ার ফাঁকে গল্পের বই পড়তে ও টিভিতে ক্রিকেট দেখতে ভালবাসে। |
জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা ভালো হলেও প্রথম ১০ জনের মধ্যে নাম থাকবে ভাবতে পারেননি শৈবাল। আদপে মানকানালির বাসিন্দা শৈবাল এখন বাঁকুড়া পুলিশ লাইন আবাসনে থাকেন। তাঁর বাবা অরুণকুমার দে পুলিশ কর্মী। তথাগত-র মতো তাঁরও প্রিয় বিষয় পদার্থ বিজ্ঞান। তাঁরই মতো শৈবাল এখন অন্যান্য প্রবেশিকা পরীক্ষার ফলের অপেক্ষায় রয়েছেন। তার পরেই কী নিয়ে পড়াশোনা করবেন, তা ঠিক করবেন।
শৈবাল বলেন, “খুঁটিয়ে পড়াশোনা করেছি। স্কুল শিক্ষক ও গৃহশিক্ষকরা সাহায্য করেছেন।” ছেলের সাফল্যে গর্বিত মা বিধাদেবী বলেন, “ছেলে ভাল করায় খুব খুশি।” |