নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
জয়েন্ট এন্ট্রান্সে মেডিক্যালে নবম স্থান অধিকার করল কৃষ্ণনগরের প্রীতম বিশ্বাস। কোনও দিনই তেমন মেধাবী ছাত্র বলে তাঁর পরিচিতি ছিল না। বরং মাধ্যমিকে কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুল থেকে মাত্র ৭৫ শতাংশ নম্বর পাওয়ায়
|
প্রীতম বিশ্বাস। নিজস্ব চিত্র। |
উচ্চমাধ্যমিকে কৃষ্ণনগর হাইস্কুলে ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে। নিজের স্কুলে ঠাঁইই হয়নি।
২০১১ সালে উচ্চমাধ্যমিকে পরীক্ষায় ৮২ শতাংশ নম্বর পায় সে। কিন্তু তার পরেও মেডিক্যালে নবম স্থান পেয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছে প্রীতম। শেষ পর্যন্ত জয়েন্টে এত ভাল ফল হবে নিজেও ভাবতে পারেনি। তাঁর কথায়, “পরীক্ষা দেওয়ার পরেও ভেবেছিলাম একশো জনের মধ্যে থাকব।”
এত ভাল ফল হওয়ার কারণ? প্রীতম বলেন, “আসলে আমি প্রথম থেকেই ভাবতাম চিকিৎসক হব। সেই মত গত এক বছর তিন জন গৃহশিক্ষকের সাহায্য নিয়ে দিন-রাত পড়াশোনা করে নিজেকে প্রস্তুত করেছি।” আর কঠোর পরিশ্রম করতে গিয়ে অনেক কিছুই ছাড়তে হয়েছে তাকে। নিজেকে ক্রিকেট মাঠ থেকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। বহু দিন গল্পের বই ছুঁয়ে দেখা হয়নি।
কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের পদার্থবিদ্যার ছাত্র প্রীতম বলেন, “আসলে পড়াশোনার বাইরে আর কিছু করার সময় পাইনি। শুধু আইপিএল দেখি। কেকেআর-এর সমর্থক। তবে পুণের সঙ্গে খেলার দিন কাউকে সমর্থন করিনি। কারণ আমি যে সৌরভ-শাহরুখ দুজনেরই ফ্যান।” |