‘কুশিং’ করা পাস কাকে বলে, হেড করার সময়ে চোখ সব সময়ে খোলা রাখা চাই, ফাইনাল ট্যাকল-ই বা কীসোজা সাপ্টা বল তুলে খেলতে অভ্যস্থ সীমান্তের তেহট্ট এ সবে তেমন সড়গড় ছিল না। পুরোহিত ডেকে পুজো করে উদ্বোধন করা সেই ফুটবল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এখন সে সবই শেখানো হবে তেহট্টের ছেলেপুলেদের।
পারিজাত ফুটবল ক্লাবের উদ্যোগে ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকে ঘিরে তেহট্টের নতিপোতা গ্রাম ছিল রীতিমত উৎসবের মেজাজ। আর থাকবে নাই বা কেন? গত কয়েক বছরে এই গ্রামের ফুটবল উন্মাদনার কথা অজানা নেই আশপাশের এলাকার মানুষদের। ফি বছর লক্ষ্মীপুজোর দিন এক দিনের নক আউট ফুটবল টুর্নামেন্ট দেখতে নতিপোতা-সহ আশপাশের গ্রামগুলো ভেঙে পড়ে।
ক্লাব ও স্থানীয়সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার ৪২ জন ছেলেদের নিয়ে প্রাথমিকভাবে ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র শুরু হয়েছে। কৃষ্ণনগর থেকে একজন প্রশিক্ষক সপ্তাহে দু’দিন গ্রামে এসে ছেলেদের খেলা শোখাবেন। এ ছাড়া সপ্তাহের বাকি দিনগুলির জন্য রয়েছেন স্থানীয় আরও তিন জন প্রশিক্ষক। পারিজাত ক্লাবের সম্পাদক পেশায় পুলিশকর্মী অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, ‘‘গ্রামের মানুষ ফুটবল বলতে পাগল। লক্ষ্মীপুজোর দিনের নক আউট টুর্নামেন্ট এখন গ্রামের একটা উৎসব। প্রতি বছর কলকাতা থেকেও বেশ কয়েকটি দল আসে। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত গ্রামের নিজস্ব কোনও ফুটবল দল ছিল না। সেই দুঃখ এ বার ঘুচবে আশা করি।’’ |