হ্যাটট্রিকের স্বপ্ন নিয়ে শুক্রবার মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সন্তোষ অভিযান শুরু করার চব্বিশ ঘণ্টা আগেই অস্বস্তি বাংলা শিবিরে। অস্বস্তির কারণ চোট-আঘাত কিংবা দলের অভ্যন্তরীন সমস্যা নয়। তপন মাইতি-তারিফ আমেদদের চরম অস্বস্তির কারণ হল ক্লান্তি। কটকের উর্ধ্বমুখী তাপমাত্রা দেখে বাংলা কোচ সাব্বির আলি ফোনে বললেন, “এত গরমে খেলা করা উচিত হয়নি ফেডারেশনের। ফুটবলাররা মাঠে নামর আগেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। আশা করছি, পরের বার থেকে ফুটবলারদের কষ্টটা মাথায় রাখবে ফেডারেশন।”
গরমের হাত থেকে বাঁচতে বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার মধ্যেই অনুশীলন সেরে ফেলে বাংলা। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। গ্রীষ্মের দাবদাহে এক ঘণ্টার বেশি অনুশীলন করতে পারেনি সাব্বিরের বঙ্গ-ব্রিগেড। অস্বস্তির ছায়া অবশ্য শুধু বাংলা শিবিরেই নয়, প্রত্যেকটা দলেই ঢুকে পড়েছে। বাংলা কোচ সেই যুক্তি মেনে নিয়ে বললেন, “এত গরমে কোনও দলই সুবিধা তুলতে পারবে না। ম্যাচের দিন যে দল ক্লান্তিকে জয় করতে পারবে, সেই জিতবে।”
সাব্বির দলে প্রতিভার অভাব নেই। নতুনদের নিয়ে গড়া দলে অভিজ্ঞতার ছোঁয়া দিয়েছেন। রক্ষণে সাগ্রাম মান্ডি এবং গৌর নস্করের পাশে খেলবেন এরিয়ানের মোহন সরকার ও ভবানীপুরের সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। মাঝমাঠে সামলাবেন মহমেডানের মুখতার ও তপন মাইতি। দুই উইঙ্গার কালীঘাট মিলন সঙ্ঘের দীপঙ্কর দাস ও ভবানীপুরের সন্তোষ ওঁরাও। গোলে মহমেডানের অর্ণব দাস শর্মা। সাব্বির বলছিলেন, “যে কোনও টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়। মহারাষ্ট্রকে হারাতে পারলে ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যাবে। আমার মাঝমাঠ ঠিকঠাক খেলে দিতে পারলে কেউ আটকাতে পারবে না।”
বাংলার গ্রুপে পঞ্জাব, কেরলের মতো শক্তিশালী দল থাকলেও, মহারাষ্ট্রকেই বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন সাব্বির। আসলে একে তো প্রথম ম্যাচ, তার ওপর অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের মধ্যে ভারসাম্য রেখে বেশ জমাট দল গড়েছে তারাও। দলের কোচ মুম্বই পশ্চিম রেলের কোচ ইরেনীয় ভাজ। সাব্বির আলির মতো তিনিও এক টানা তিন বছর তাঁর রাজ্য দলের কোচ। মহারাষ্ট্রের অধিনায়ক হলেন ওএনজিসি-র কৈলাস পাতিল। আছেন এয়ার ইন্ডিয়ার মিডফিল্ডার বিজিত শেঠিও। আর মহারাষ্ট্র রক্ষণে বাংলার দুই স্ট্রাইকার তারিফ আমেদ এবং তন্ময় কুণ্ডুকে আটকানোর গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সন্তোষ কোলিকে। যিনি আবার এয়ার ইন্ডিয়াকে প্রচুর ম্যাচ জিতিয়েছেন। |