বাসের ধাক্কায় এক মোটরবাইক আরোহীর মৃত্যুর জেরে বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাওড়ার ডোমজুড়ের অঙ্কুরহাটির কাছে মুম্বই রোড। জনতা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভাঙচুর চালানো হয় অন্তত ২০টি লরি-ট্রাকে। এর জেরে ঘণ্টাখানেক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ওই জাতীয় সড়ক। পরে পুলিশ বাহিনী এবং র্যাফ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম বশির আলি মণ্ডল (৬০)। বাড়ি অঙ্কুরহাটির কাছে নিবড়ায়। |
দুর্ঘটনার কিছু ক্ষণ পরেই হুগলির ফুরফুরা শরিফ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডানকুনির মাইতিপাড়া পেরিয়ে মুম্বই রোড ধরে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে কলকাতা ফিরছিলেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই তিনি ডোমজুড়ের তৃণমূল বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘটনাস্থলে যেতে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। যানজট থাকলেও পুলিশ-প্রশাসনের তৎপরতায় মুখ্যমন্ত্রী নির্বিঘ্নেই ওই রাস্তা পেরিয়ে যান। রাজীববাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঘটনাস্থলে যাই। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিট নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী ওই পথ দিয়ে ফেরেন।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বুধবার বশির আলির মেয়ের বিয়ে হয় অঙ্কুরহাটির কাছেই প্রশস্তে। এ দিন বিকেলে তিনি সেখান থেকেই বউ-ভাতের অনুষ্ঠান সেরে এক আত্মীয়ের সঙ্গে ফিরছিলেন। মোটরবাইকের পিছনে বসেছিলেন বশির আলি। ভাড়া করা বাসটি পিছন থেকে ধাক্কা মারে ওই মোটরবাইকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বশির আলির। তাঁর জখম আত্মীয় হাসপাতালে ভর্তি। এর পরেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। বাসযাত্রী ও চালকেরা নেমে পালান। দমকল ঘটনাস্থলে আসার আগেই বাসটি পুড়ে যায়। সন্ধে ৭টার পরে ওই রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। |