নতুন সাজে সেজে উঠল চন্দননগরের গঙ্গার পাড় (স্ট্র্যান্ড)।
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে স্ট্র্যান্ডের ৬৭৮ মিটার (রানিঘাট থেকে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজরিত পাতালবাড়ি পর্যন্ত) এলাকা জুড়ে ৫০টি বাতিস্তম্ভ বসানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নতুন ওই আলোর উদ্বোধন করলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। প্রশাসন সূত্রের খবর, গঙ্গার পাড়ের সৌন্দর্যায়নের লক্ষ্যে নতুন ওই আলো বসাতে খরচ হয়েছে ৪৪ লক্ষ টাকা। |
পুরমন্ত্রী বলেন, “লন্ডনে টেমস নদীর ধারে যেমন সুসজ্জিত আলোর রোশনাই চোখে পড়ে, তেমনই হুগলি নদীর তীরে কলকাতা থেকে শুরু করে মুর্শিদাবাদ পর্যন্ত ঐতিহাসিক শহরগুলির ঘাট এবং স্থানগুলিকে সুসজ্জিত করে তুলতে রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়েছে। সেই উদ্যোগেরই ফসল এই সুদৃশ্য আলোকস্তম্ভ। পরে, গঙ্গা তীরবর্তী অন্য স্থানগুলিকেও সাজিয়ে তোলা হবে পর্যটকদের জন্য।” তাঁর আশা, তাঁদের আবেদন মতো কেন্দ্র সরকার আগের রাজ্য সরকারের করা ঋণের সুদ তিন বছরের জন্য মকুব করলে উন্নয়নের ধারা বৃদ্ধি পাবে। গোটা রাজ্যের সৌন্দর্যায়ন দ্রুত গতিতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী রচপাল সিংহ, চন্দনগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী, স্থানীয় বিধায়ক অশোক সাউ-সহ বিশিষ্ট জনেরা। রচপাল বলেন, “চন্দননগর ফরাসি আমলের শহর। এই শহরকে পর্যটন মানচিত্রে তুলে ধরতে আমাদের দফতর সব রকম চেষ্টা করবে।” জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে বিশেষ পরিকল্পনার কথাও ঘোষণা করেন পর্যটনমন্ত্রী। তিনি বলেন, “চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর জগতে্জাড়া নাম। বাইরে থেকে প্রচুর মানুষ এখানে পুজো দেখতে আসেন। তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে জন্য গঙ্গার তীরে পর্যটন-নিবাস তৈরি করা হবে। যাতায়াতের জন্য কলকাতা-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে বিশেষ লঞ্চের ব্যবস্থা করা হবে। শহরের সব রাস্তায় সুদৃশ্য আলো বসানো হবে।” |