|
|
|
|
কর্মীরাও দায়ী, বললেন বিমানমন্ত্রী |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
অর্থাভাবে ধুঁকছে এয়ার ইন্ডিয়া। এই পরিস্থিতির জন্য কর্মীরাও যে দায়ী তা আজ সংসদে জানিয়েছেন বিমানমন্ত্রী অজিত সিংহ। মদ চুরি থেকে শুরু করে ভুয়ো হাজিরা দেওয়া—কোনও অনিয়মেই পিছিয়ে নেই রাষ্ট্রায়ত্ত বিমানসংস্থার পাইলট ও অন্য কর্মীরা।
গত তিন বছরে এই ধরনের ১৬১টি অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে এয়ার ইন্ডিয়ার ভিজিল্যান্স দফতর। কিছু অভিযোগ প্রমাণিতও হয়েছে। ৩৭২টি মদের বোতল চুরি করে হাতে নাতে ধরা পড়েছিলেন এক ফ্লাইট পার্সার। তাঁর চাকরি গিয়েছে। একই ভাবে ২০ হাজার টাকার ক্যাভিয়ার চুরি করে ধরা পড়েছেন কেটারিং বিভাগের এক অফিসার।
পিছিয়ে নেই পাইলটরাও। কাজ না করেও অন্যায্য ভাবে বেতন ও ভাতা আদায় করেছেন অনেকে। আবার এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মী থাকার সময়েই অন্য বিমানসংস্থায় চাকরি নিয়েছিলেন এক জন। বিদেশি পাইলটদের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনের তারিখ থেকেই তাঁদের নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাতা দিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। কিন্তু, নথিপত্র তৈরি হতে সময় লাগায় ওই পাইলটরা কাজে যোগ দিয়েছেন ওই তারিখের প্রায় এক মাস পরে। ফলে, এক মাস কাজ না করলেও ভাতা পেয়েছেন তাঁরা।
আত্মীয় স্বজনের জন্য উড়ানে নানা সুবিধে আদায় করেছেন বিমানসংস্থার উচ্চ পদস্থ অফিসাররা। ভুয়ো হাজিরা, ওভারটাইম বাড়িয়ে দেখানোর একাধিক অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তাঁরা। বিদেশ থেকে বিমান ও বিমানবন্দরে ব্যবহারের জন্য বহুমূল্য জিনিসপত্র আনিয়েছিলেন দুই পদস্থ অফিসার। কিন্তু, তা কার্যত ব্যবহারই হয়নি। ফলে বড় অঙ্কের ক্ষতি হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার। টেন্ডার না ডেকেই কর্মীদের থাকার জন্য আমেরিকায় পাঁচতারা হোটেলের ঘর ভাড়া করা হয়েছে। তবে সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাটি দিল্লি বিমানবন্দরের। উড়ানে দেরি হয়েছে বলে বিমানবন্দরের রেস্তোরাঁয় কর্মীদের বিপুল বিল ধরানো হয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু পরে জানা যায় ওই উড়ান ঠিক সময়েই ছেড়েছিল। |
|
|
|
|
|