|
|
|
|
এয়ার ইন্ডিয়া |
ধর্মঘটকে ফের অবৈধ বলল দিল্লি হাইকোর্ট |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
আইনি লড়াই থেকে সরে আসছেন না এয়ার ইন্ডিয়ার ধর্মঘটী পাইলটরা। দিল্লি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও ধর্মঘটকে অবৈধ ঘোষণা করার পরে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ভাবছে ইন্ডিয়ান পাইলটস গিল্ড (আইপিজি)।
গত ৯ মে পাইলটদের ধর্মঘট অবৈধ বলে রায় দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি রেবা ক্ষেত্রপালের বেঞ্চ। এক সদস্যের বেঞ্চের এই রায়ের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল আইপিজি।
আজ তাদের আর্জি খারিজ করে বিচারপতি সঞ্জয়কৃষ্ণ কউল এবং রাজীব শাকধেরের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, “এ ভাবে ধর্মঘটী পাইলটরা আদালতের নির্দেশ অমান্য করতে পারেন না। এর জন্য আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা চালাতেই পারি। কিন্তু ব্যাপারটি আমরা এক সদস্যের বেঞ্চের উপরেই ছেড়ে দিচ্ছি।”
সেই সঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চের আশা, শীঘ্রই ধর্মঘটী পাইলটদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।
ডিভিশন বেঞ্চের এই রায় ঘোষণার পরে আইপিজি-র তরফে ক্যাপ্টেন তৌফিক জানান, এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ অচলাবস্থার সমস্ত দায় চাপিয়ে দিয়েছেন ধর্মঘটী পাইলটদের উপরে। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, পাইলটরা যাত্রীদের কথা ভাবছেন না। এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তৌফিক বলেন, ‘‘ছ’মাস ধরে আমরা বিনা বেতনে কাজ করেছি। সেটা তো যাত্রীদের কথা ভেবেই। এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ আমাদের সবাইকে কাজে যোগ দিতে বলছেন। কিন্তু ৭১ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁদের বরুদ্ধে জারি হওয়া ‘সাসপেনশন অর্ডার’ তুলে না নিলে সবাই কাজে যোগ দেব কী করে? তাই এই ৭১ জনের ‘সাসপেনশন অর্ডার’ আগে তুলে নেওয়া হোক।”
এর মধ্যেই এয়ার ইন্ডিয়ার ধর্মঘট আজ দশম দিনে পড়ল। অচলাবস্থা কাটাতে এয়ার ইন্ডিয়ার সমস্ত বৈধ ইউনিয়নের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে আলোচনায় বসতে চলেছে সরকার। আজ বিমান মন্ত্রী অজিত সিংহ বলেন, “আগামী সপ্তাহে এয়ার ইন্ডিয়ার সমস্ত স্বীকৃত ইউনিয়নকে আমি আলোচনায় ডাকছি। সেখানে কর্মীদের পদোন্নতি, বেতন কাঠামো-সহ সমস্ত বিষয়ে কথা হবে।”
সাবেক ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স এবং সাবেক এয়ার ইন্ডিয়া মিশে গিয়ে তৈরি হয় এয়ার ইন্ডিয়া। এর পরে এয়ার ইন্ডিয়ার বিভিন্ন সমস্যা মেটাতে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ডি এন ধর্মাধিকারির নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের কমিটি একটি রিপোর্ট দিয়েছিল। সেই রিপোর্টে সুপারিশ করা প্রস্তাবগুলি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সেই বৈঠকে আইপিজি-র যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ বৈঠকে শুধু স্বীকৃত ইউনিয়নগুলিকেই ডাকা হচ্ছে। আইপিজি-র বৈধতা ইতিমধ্যেই কেড়ে নেওয়া হয়েছে। |
|
|
|
|
|