|
|
|
|
সঙ্কটে প্রসারভারতী |
পেশাদারির সীমা নিয়ে প্রশ্ন তুলল জয়া-পর্ব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
রাজ্যসভার সম্প্রচার বিতর্ক এক নতুন প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দিল সরকারকে। বাধ্যবাধকতা আগে, নাকি সংবাদ চ্যানেলের পেশাদারিত্ব?
রেখার শপথ গ্রহণের সময় রাজ্যসভার টিভি সম্প্রচারে জয়া বচ্চনকে দেখিয়ে যাওয়া নিয়ে সমাজবাদী সাংসদেরা গত কাল অভিযোগ জানিয়েছেন চেয়ারপার্সন হামিদ আনসারির কাছে। ক্ষুব্ধ জয়াও। রাজ্যসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে হেতু তাদের চ্যানেলটি নতুন, ফলে সরাসরি দূরদর্শনের কাছ থেকেই ‘ফিড’ নেওয়া হয়েছে। সুতরাং যা দেখানো হয়েছে, ভাল বা মন্দ তার দায়িত্ব দূরদর্শনেরই। ঘটনার জেরে আজ কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অম্বিকা সোনি ব্যক্তিগত ভাবে দুঃখপ্রকাশ করেছেন জয়ার কাছে। পাশাপাশি প্রসারভারতীর সিইও জহর সরকারের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে তাঁর। কিন্তু চ্যানেলের পেশাদারিত্বের প্রশ্নটি অমীমাংসিতই থেকে গিয়েছে।
বিষয়টা প্রকৃতপক্ষে উভয়সঙ্কটের মতোই হয়ে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সামনে। এটা ঠিকই যে, সমাজবাদী পার্টি সরকারের জোটসঙ্গী নয়। কিন্তু জোটের অংশ না হলেও সপা কংগ্রেসের সমর্থক দল। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে এই ‘সমর্থন’ ক্রমশই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে কংগ্রেসের সামনে। ফলে মুলায়ম সিংহ যাদবকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করা অথবা জয়া বচ্চনের মতো সাংসদকে চটানো রাজনৈতিক ভাবে সম্ভব নয় সনিয়া গাঁধীর দলের পক্ষে। অন্য দিকে মন্ত্রক মনে করছে, একটি সংবাদ চ্যানেলের পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে হলে তাকে অন্যান্য সংবাদ চ্যানেলের সঙ্গে প্রতিযোগিতার মাধ্যমেই এগিয়ে যেতে হবে। সেটাই দেখাতে হবে যার প্রাসঙ্গিকতা এবং সংবাদ-আকর্ষণ রয়েছে (অবশ্যই সংবাদকে বিকৃত না করে অথবা কুরুচিকর কিছু সম্প্রচার না করে)।
প্রশ্ন হল, সংবাদমাধ্যম সরকারের হাতে থাকলে এই ‘উভয়সঙ্কট’ থেকে মুক্তির উপায় কী? দায়িত্বভার গ্রহণের দিনই জহর সরকার জানিয়েছিলেন, গতানুগতিকতা থেকে সরে এসে তিনি দূরদর্শনকে অন্যান্য বেসরকারি চ্যানেলের সঙ্গে প্রতিযোগিতার মাধ্যমেই এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। তাঁর মতে, দক্ষতা এবং পেশাদারিত্বই হবে চ্যানেলের প্রধান চালিকাশক্তি। রেখার শপথ গ্রহণের দিন জয়ার যে ছবি দেখানো হয়েছিল, তাতে আপত্তিকর কিছু ছিল বলে মনে করে না প্রসারভারতী। বিশেষত দেশের
সর্বত্র যখন তুমুল দর্শক-চাহিদা তৈরি হয়েছে রেখা-জয়াকে ঘিরে এবং সমস্ত বেসরকারি চ্যানেল যখন সেটাকেই কাজে লাগিয়ে তাদের টিআরপি বাড়িয়ে চলেছে। সমাজবাদী সাংসদরা যা-ই বলুন, ঘরোয়া শিবিরে জহরবাবু জানিয়েছেন, অবস্থান বদলানোর পক্ষপাতী নন তিনি। |
|
|
|
|
|