|
|
|
|
দুবরাজপুরে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, মহিলাকে ‘মারধর’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
আবার প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর সমর্থক এক মাঝবয়সী মহিলাকে মারধরের অভিযোগে দলের অপর গোষ্ঠীর কর্মীকে গ্রেফতারও করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে দুবরাজপুর থানার খণ্ডগ্রামে। ধৃত তৃণমূল কর্মীর নাম শেখ হাবিব। ‘আক্রান্ত’ মহিলা একিনা বিবির অভিযোগ, “দীর্ঘদিন ধরে দুবরাজপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি ভোলানাথ মিত্রের অনুগামী, আমাদেরই গ্রামের শেখ গিয়াসউদ্দিন ও তাঁর লোকজন আমার উপর নানা রকম অত্যাচার চালাচ্ছে। কেন আমি শৈলেন মাহাতা গোষ্ঠী ছেড়ে ওঁদের গোষ্ঠীতে যোগ দিইনি, সে জন্য আমাকে আগেও মারধর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ওদের বাড়িতে আগুন লাগানোর মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমাকে বেধড়ক মারধর করে গিয়াসউদ্দিনের ভাইপো শেখ হাবিব-সহ কয়েক জন।” এই মর্মেই থানায় লিখিত অভিযোগ করেমন একিনা বিবি।
শেখ গিয়াসউদ্দিনের পাল্টা অভিযোগ, “ওই মহিলা হাবিবদের গোয়ালঘরের পাশে থাকা বিদ্যুতের খুঁটি থেকে ছেলেকে দিয়ে অবৈধ হুকিং করানোর সময় বিদ্যুতের তার থেকে আগুনের ফুলকি পড়ে গোয়ালঘরে আগুন লেগে যায়। এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় নিজের নাক দেওয়ালে ঠুকে রক্তপাত ঘটিয়ে নাটক করেছেন। কেউ ওঁকে মারধর করেনি।” অন্য দিকে, একিনা বিবির দাবি, কয়েক দিন ধরে বাড়িতে বিদ্যুৎ ছিল না। এ দিন তাঁর ছেলে সেটা ঠিক করতে যায়। ছেলে বিদ্যুতের খুঁটি থেকে নামার আধ ঘণ্টা পরে শর্ট সার্কিট থেকে কোনও ভাবে শেখ হাবিবদের গোয়ালঘরে আগুন লাগে। তৃণমূল নেতা শৈলেন মাহাতা বলেন, “যদি ধরেও নিই ওদের (গিয়াসুদ্দিন গোষ্ঠী) অভিযোগ ঠিক, সে ক্ষেত্রে তো আইন আছে! অভিযোগ জানানোর নির্দিষ্ট দফতর রয়েছে। সেটা না করে নিজেরা এক জন মহিলাকে মারধর করবে!” শৈলেনবাবুর অভিযোগ, গিয়াসউদ্দিন ও তাঁর দলবল এলাকা সন্ত্রস্ত করে রেখেছে। একিনা বিবি এ সবের প্রতিবাদ করায় তিনি আক্রান্ত হয়েছেন। ব্লক তৃণমূল সভাপতি ভোলানাথবাবু অবশ্য বলেন, “একটি বাড়িতে আগুন লাগার তদন্তে গিয়ে এক তরফা ভাবে পুলিশ আমাদের এক জনকে তুলে এনেছে। লাঠিও চালিয়েছে।” পুলিশ লাঠি চালানোর কথা অস্বীকার করেছে। |
|
|
|
|
|