সিপিএম নেতা প্রদীপ তা এবং কমল গায়েন হত্যাকাণ্ডে ফেরার আরও দুই অভিযুক্তের বাড়ির দরজায় আদালতের নোটিস সাঁটাল পুলিশ। তাতে বলা হয়েছে, আগামী ২০ মে-র মধ্যে সিজেএম আদালতে হাজির না হলে তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। বাবু হাজরা ও বাবলু হাজরা নামে ওই দু’জনেরই বাড়ি প্রদীপবাবুর গ্রাম মির্জাপুরের হাজরাপাড়ায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানে গিয়ে পুলিশ কাউকেই বাড়িতে পায়নি। মঙ্গলবার ওই গ্রামেরই আরও দুই ফেরার অভিযুক্তের বাড়িতে একই নোটিস সাঁটানো হয়েছিল।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি বর্ধমানের দেওয়ানদিঘিতে দুই সিপিএম নেতা খুন হওয়ার পরে যে ২২ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, তার মধ্যে তিন জনকে চার্জশিটে অব্যাহতি দিয়েছে সিআইডি। ১১ জন গ্রেফতার হয়েছেন। বাকি ৮ জনকে আদালতে হাজির হওয়ার, অন্যথায় তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন সিজেএম ইয়াসমিন আহমেদ। এ দিন বর্ধমান থানা থেকে চার জনের একটি দল হাজরাপাড়ায় গিয়ে দেখে, দু’টি বাড়িরই দরজায় তালা। তবে কিছু ক্ষণ আগেও যে বাড়িতে লোকজন ছিলেন, তার প্রমাণ ছড়িয়েই ছিল। বাড়ির উঠোনে বাঁধা ছাগল পাতা চিবোচ্ছিল। দড়িতে মেলা ভিজে গামছা থেকে জল ঝরছিল টপটপ করে। এক পাশে পড়ে ছিল ভেজা শিল। ফলে, পুলিশ আসার আগাম খবর যে অভিযুক্তদের বাড়িতে পৌঁছেছিল, সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এ দিন জেলা জজ প্রভাতকুমার অধিকারীর এজলাসে ধৃত পতিতপাবন তা-সহ ১১ জনের জামিনের শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও পাবলিক প্রসিকিউটার সুব্রত হাটি তা নিয়ে আপত্তি তোলেন। তাঁর যুক্তি ছিল, শুক্রবার হাইকোর্টে মামলার তদন্ত নিয়ে শুনানি রয়েছে। সে কারণে জামিনের আবেদনের শুনানি পরের সপ্তাহে করা হোক। অভিযুক্ত পক্ষ প্রতিবাদ করলেও জেলা জজ তা গ্রাহ্য করেননি। আগামী মঙ্গলবার, ২২ মে ওই শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। |