টুকরো খবর
বন্যা নিয়ন্ত্রণে কমিশন, প্রস্তাব
উত্তরবঙ্গে বন্যা নিয়ন্ত্রণে ইন্দো-ভুটান নদী কমিশন গড়তে কেন্দ্রকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে একটি সমাজসেবা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে এ কথা জানিয়েছেন সেচ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় বন্যার ক্ষেত্রে ভুটান থেকে নেমে আসা নদীগুলির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণে বন্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ইন্দো-ভুটান নদী কমিশন গড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের কাছে। পাশাপাশি ব্রহ্মপুত্র বেসিনের নদীগুলির বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য এবং সংস্কার করতে এই প্রথম প্রসঙ্গ উত্থাপন করে প্রকল্পের জন্য টাকা চাওয়া হয়েছে ব্রহ্মপুত্র বোর্ডের কাছে।” সেচ দফতরের পাশাপাশি মানসবাবু ক্ষুদ্র কুটির শিল্প এবং বস্ত্র শিল্প দফতরের মন্ত্রীও। ‘ন্যাশনাল ফাইবার মিশন’ প্রকল্পে উত্তরবঙ্গে অবহেলিত পাট, তসর, বাঁশ, বেত, ডোকরা শিল্পের উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণের কথা এ দিন জানিয়েছেন তিনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া এবং পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব, শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য-সহ অনেকেই। শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি সড়কের বেহাল পরিস্থিতির জন্য বাস-সহ পণ্যবাহী ভাড়ি ট্রাক সমস্তই ফুলবাড়ি ক্যানালের বাঁধের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করায় বাঁধের ক্ষতি হচ্ছে বলে মানসবাবু জানান। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থায় ঠিকায় নিযুক্ত কর্মীদের ছাঁটাই নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে। এ ব্যাপারে পরিবহণ মন্ত্রী বলেন, “কাউকে ছাঁটাই করা হচ্ছে না। ঠিকায় নিযুক্ত যাঁরা তাঁদের দায়িত্ব ঠিকাদার সংস্থাকেই নিতে হবে। সরকার নেবে না। একে ছাঁটাই বলে মানতে আমরা রাজি নই।” তিনি জানান, দীর্ঘদিন যাঁরা কাজ করছিলেন ঠিকাদাররা তাঁদের অন্যত্র কেন কাজ দেবেন না? সে ব্যাপারে ওই কর্মীরা সাহায্য চাইলে ঠিকাদার সংস্থাকে সরকারের তরফে তাদের কাজের জন্য চাপ দেওয়া হবে।

জেলা ভাগে নিয়ে সর্বদল
সাংবাদিক সম্মেলনে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। নিজস্ব চিত্র।
আলিপুরদুয়ার জেলা ভাগের প্রক্রিয়া কী ভাবে সম্পূর্ণ করা হবে সেটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করবেন। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে এক সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা বলেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। এদিন তিনি রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের অধীন পার্সোনেল বিভাগের যুগ্ম সচিবের একটি চিঠি পড়ে বলেন, “২২ মে জলপাইগুড়িতে জেলাশাসকের দফতরে সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছে। ওই বৈঠকে জলপাইগুড়ি জেলা ভাগের বিষয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হবে। তার পরেই বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন মুখ্যমন্ত্রী।” কবে জেলা ভাগের কথা ঘোষণা করা হবে সেটাও মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করবেন বলে তিনি জানান, গৌতমবাবু বলেন, “আমরা কেরলের মতো ছোট ছোট জেলা গঠন করে উন্নয়নের পক্ষপাতী। জলপাইগুড়ির মতোই বর্ধমান-সহ কয়েকটি জেলা ভাগের বিষয়েও সেই কারণে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।” তিনি জানান, ইতিমধ্যেই মালদহ ও দুই দিনাজপুরের প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করে ‘স্কিম ব্যাঙ্ক’ তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পরে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ির জন্যও এ ভাবে স্কিম ব্যাঙ্ক তৈরি করা হবে। পূর্বতন রাজ্য সরকারের আমলে শুরু হওয়া উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। ১৯ মে রাজ্যের নয়া সরকারের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান শুরু হবে। ২০ মে পর্যন্ত তা চলবে বলে তিনি জানান।

২২মে বৈঠকে সব দল
আলিপুরদুয়ার জেলা ভাগের প্রক্রিয়া কী ভাবে সম্পূর্ণ করা হবে সেটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করবেন। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে এক সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা বলেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। এদিন তিনি রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের অধীন পার্সোনেল বিভাগের যুগ্ম সচিবের একটি চিঠি পড়ে বলেন, “২২ মে জলপাইগুড়িতে জেলাশাসকের দফতরে সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছে। ওই বৈঠকে জলপাইগুড়ি জেলা ভাগের বিষয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হবে। তার পরেই বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন মুখ্যমন্ত্রী।” কবে জেলা ভাগের কথা ঘোষণা করা হবে সেটাও মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করবেন বলে তিনি জানান, গৌতমবাবু বলেন, “আমরা কেরলের মতো ছোট ছোট জেলা গঠন করে উন্নয়নের পক্ষপাতী। জলপাইগুড়ির মতোই বর্ধমান-সহ কয়েকটি জেলা ভাগের বিষয়েও সেই কারণে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।” তিনি জানান, ইতিমধ্যেই মালদহ ও দুই দিনাজপুরের প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করে ‘স্কিম ব্যাঙ্ক’ তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পরে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ির জন্যও এ ভাবে স্কিম ব্যাঙ্ক তৈরি করা হবে। পূর্বতন রাজ্য সরকারের আমলে শুরু হওয়া উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। ১৯ মে রাজ্যের নয়া সরকারের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান শুরু হবে। ২০ মে পর্যন্ত তা চলবে বলে তিনি জানান।

টোটো উন্নয়নে উদ্যোগী রাজ্য
এ বছরের মধ্যে জলপাইগুড়ির টোটোপাড়ার সব মানুষকে স্বাক্ষর করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকারের অনুন্নত শ্রেণিকল্যাণ দফতর। এই স্বাক্ষর অভিযান করা হবে বাংলা হরফে কিন্তু টোটো ভাষায়। একই সঙ্গে তাঁদের প্রাচীন সংস্কৃতি, পোশাক, বিয়ের রীতি সবই সংরক্ষণ করা হবে। তাঁদের সামাজিক নিরাপত্তাও দেওয়া হবে। অনুন্নত শ্রেণিকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস এ কথা জানান। তিনি জানান, ওই কাজে ইতিমধ্যেই টোটোদের মধ্যে যাঁরা শিক্ষার আলো পেয়েছেন তাঁদের শিক্ষক হিসাবে কাজে লাগানো হচ্ছে। সারা দেশে যে ক’টি প্রাচীন আদিবাসী গোষ্ঠী রয়েছে তার মধ্যে জলপাইগুড়ির টোটো, পশ্চিম মেদিনীপুরের লোধা এবং পুরুলিয়ার বীরহোড় গোষ্ঠীর মানুষেরা এ রাজ্যে বসবাস করেন। জনগণনা অনুযায়ী সারাদেশে টোটো সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন ১১৮৪ জন। এঁদের মধ্যে কেউ কেউ শিক্ষার আলো দেখলেও বেশিরভাগই এখনও সেই পথে পা বাড়াননি। আর্থসামাজিক কারণেই তাঁরা এগিয়ে আসতে পারেননি। টোটোপাড়ায় টোটোদের চেয়েও অন্য সম্প্রদায়ের মানুষ বেশি হয়ে যাওয়ায় টোটোরা নিরাপত্তার অভাবে ভুগতে শুরু করেছেন। আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটিয়ে মানসিক নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

উপাচার্যকে স্মারকলিপি

বিএ, বিএসসি, বি কম পরীক্ষায় হোমসেন্টার বহাল, পরীক্ষা নিয়মক পদে স্থায়ী নিয়োগ, পরীক্ষার দিন ঘোষণা’র দাবিতে মঙ্গলবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। সংগঠনের জেলার কার্যকরী সভাপতি ছোটন সিংহ জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কমর্সমিতি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল চলতি শিক্ষবর্ষে বিএ, বিএসসি, বিকম পরীক্ষা সমস্ত কলেজ থেকে হোমসেন্টার তুলে দেওয়া হবে। কলেজগুলিতে কোনও পরিকাঠামো না গড়েই হোমসেন্টার তুলে দেওয়ায় সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ছাত্র ছাত্রীরা বিপাকে। উপাচার্য অচিন্ত্য বিশ্বাস দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।

বিদ্যুৎকর্মীর মৃত্যু
তড়িদাহত হয়ে বিদ্যুৎ পর্ষদ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বীরপাড়া শহরে। মৃতের নাম ভবেন রায় (৪৫)। এদিন সকালে বিদ্যুতের লাইনে মেরামতির কাজ করতে মই বেয়ে ওঠেন। সেই সময় তিনি তড়িহাদত হন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.