সিআইডি তদন্ত কেন, আচার্যের দ্বারস্থ উপাচার্য |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
প্রথমে তদন্ত চালিয়েছিল রাজ্য সরকার। এখন সেই দায়িত্ব পেয়েছে সিআইডি। নিয়োগে দুর্নীতি-সহ বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একের পর এক তদন্ত হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রথম দফায় সরকারি তদন্তে তেমন কোনও গোলমাল ধরা পড়েনি বলে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর। তার পরেও সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ রীতিমতো ‘বিস্মিত’। মঙ্গলবার আচার্য তথা রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের সঙ্গে দেখা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি এবং নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে গোয়েন্দা তদন্তের প্রয়োজন দেখা দিল কেন, বড় হয়ে উঠেছে এই প্রশ্নটাই। এ দিন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী সেনগুপ্ত রাজভবনে রাজ্যপাল নারায়ণনের সঙ্গে দেখা করতে যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সহ-উপাচার্য প্রশান্তকুমার মহাপাত্র।
পরে সব্যসাচীবাবু বলেন, “অত্যন্ত আন্তরিক আলোচনা হয়েছে। রাজ্যপাল আমাদের কথা শুনেছেন। জরুরি পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ে তদন্ত চালানোর এক্তিয়ার সিআইডি-র আদৌ নেই বলে দাবি তুলে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই মামলা করেছেন। এ দিন সকালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের পরে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে রাজ্যপাল বলেন, “বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। দেখা যাক, আদালত কী রায় দেয়।” কিন্তু সিআইডি যদি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তদন্ত চালায়, সেটা কি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মানহানিকর নয়? নারায়ণন বলেন, “অভিযোগ পেলে তখনই তো তদন্ত হয়। এ ক্ষেত্রে কী হয়, সেটা দেখা যাক।”
উপাচার্য হিসেবে সব্যসাচীবাবুর মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে আগামী ৮ জুন। এই পরিস্থিতিতে ইস্তফা দিতে চেয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের কাছে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন প্রশান্তবাবু। রাজ্যপাল তাঁকে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলেছেন বলেও জানান উপাচার্য। |