তৃণমূল কংগ্রেস, বাম নেতাদের পরে এ বার গাইঘাটার ঠাকুরনগরে মতুয়া সম্প্রদায়ের ঠাকুরবাড়িতে হাজির হলেন কংগ্রেস নেতারাও। সামনে পঞ্চয়েত নির্বাচন উপলক্ষেই কংগ্রেসের ঠাকুরবাড়িতে আগমন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
মঙ্গলবার বিকেলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের নির্দেশে কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল এ দিন ঠাকুরবাড়িতে মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রধান উপদেষ্টা বীণাপানি ঠাকুরের (বড়মা) সঙ্গে দেখা করতে আসেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সম্পাদক সম্রাট তপাদার। এ ছাড়া ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সুবোধ চক্রবর্তী, গাইঘাটা ২ নম্বর ব্লক সভাপতি রবীন মণ্ডল প্রমুখ। প্রতিনিধি দলের তরফে বড়মাকে প্রণাম করে মালা পরিয়ে শাড়ি, ফল, মিষ্টি তুলে দেওয়া হয়। বড়মা সকলকেই আশীর্বাদ করেন। সম্রাটবাবু বলেন, “প্রদীপ ভট্টাচার্যের নির্দেশে অসুস্থ বড়মাকে দেখতে এসেছিলাম। আমরা ঠাকুরের কাছে মায়ের সুস্থতা কামনা করছি।” |
এর আগে দেখা গিয়েছে, মতুয়া ভোটব্যাঙ্ককে নিজেদের অনুকূলে টানতে ঠাকুবাড়িতে এসেছিলেন সিপিএম, তৃণমূল, ফরওয়ার্ড ব্লক এবং বিজেপি-র নেতানেত্রীরা। কিন্তু কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সাম্প্রতিক অতীতে কাউকে ঠাকুরবাড়িতে দেখা যায়নি। সে দিক থেকে কংগ্রেস নেতাদের ঠাকুরবাড়ি আগমন তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া-সহ রাজ্যে ৭০টির বেশি বিধানসভা এলাকায় মতুয়া সম্প্রদায়ের লোকজন বাস করেন। ফলে নির্বাচনের সময় ওই সব এলাকায় মতুয়া সম্প্রদায়ের আশীর্বাদ সব রাজনৈতিক দলেরই প্রয়োজন। সেই তাগিদ থেকে কংগ্রেসও এ বার বড়মার আশীর্বাদ পেতে চাইছে বলে ব্যাখ্যা রাজনৈতিক মহলের। যদিও সম্রাটবাবু বলেন, “এটা ঠিক যে এই প্রথম আমরা বড়মার কাছে এলাম। কিন্তু এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। বড়মার স্বামী প্রয়াত প্রমথ রঞ্জন ঠাকুর কংগ্রেস সাংসদ ছিলেন। তাই তিনি আমাদের মনে রয়েছেন। তাঁর আদর্শ আমাদের আদর্শ। আলাদা করে ভোটের জন্য আসার প্রয়োজন নেই।” |